মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ১৮২ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বাতিল করা হয়েছে।
এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সংসদে সেলিনা বেগমের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে বর্তমানে সুবিধা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের সনদ ও গেজেট বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।
এছাড়া যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি তাদের চলতি বছর ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বরাবর অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদন যাচাই-বাছাইপূর্বক গেজেটভুক্ত করে তাদের নামে সনদ ইস্যু করা হবে।
ফাহমী গোলন্দাজ বাবুলের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সকল উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প চলমান। যা গতবছরের জুলাই মাস থেকে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। মোট এক হাজার ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২২টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পটি ২০১৫ সালের জুন মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটির আওতায় ইতিমধ্যে ১০টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং ১১৮টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে ৮১টি কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান।
একে এম রহমতুল্লাহর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী সংসদকে জানান, সারাদেশে বর্তমানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টের অনুকূলে মোট ৫৫ দশমিক ৭২৪৫ একর জমি ও ১৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
নজরুল ইসলাম চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারাদেশে ভাতাপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৫ হাজার ৩৫৭ জন। ঢাকার মোহাম্মদপুরে গজনবী সড়কে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণার্থে দুটি বেজমেন্টসহ ১৫ তলাবিশিষ্ট আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্মিত ভবনে ৮৪টি ফ্ল্যাট ও ৭৪টি দোকান রয়েছে।