DMCA.com Protection Status
title="৭

একরোখা-স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রীর জয়ঃ গণতন্ত্রের মানসকন্যার পরাজয়!

n2 দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃআওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবীকৃত গণতন্ত্রের মানসকন্যা খ্যাত  শেখ হাসিনা কি হেরে যাচ্ছেন নিজের একরোখা প্রধানমন্ত্রী সত্ত্বার কাছে??? যে করেই হউক সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনের বিল পাস করানোর ব্যাপারে বদ্ধ পরিকর শেখ হাসিনা। তা করতে গিয়ে, নিজ দলের কয়েকজন নেতাকর্মীর সমর্থন না পেয়ে আপোষহীন,একগুয়ে হয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই প্রস্তাবটি নিয়ে বিরোধিতার প্রতিক্রিয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, শেখ হাসিনাকে ছাড়া আওয়ামী লীগের সব নেতাকেই ‘কেনা যায়’। উদ্যোগের সমালোচনা রয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যেও। এইভাবে নিজ দলের সাংসদদের সাথে আলোচনা-বিতর্ক না গিয়ে গালমন্দকেই নিজের কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য অনুসারে এভাবে সরকার দলের নেতাদেরকে ‘বেঁচা-কেনা’ করা গেলে, আদতে হেরে যান শেখ হাসিনা নিজেই। এতে আর যাই প্রমাণ হউক, তাঁর নেতৃত্বের সংকটই স্পষ্ট হয় সবচেয়ে বেশি। কোন শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় দেশের মানুষ? নিজে ‘বিক্রি’ না হলেও নিজ দলের নেতাদের ‘বিক্রি’ হওয়া ঠেকাতে ব্যর্থ শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই দেশের মানুষের কাম্য নয়। এছাড়া, সরকার দলের নেতাদের এই অবস্থা হলে, জনগণই বা প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারের ওপর আস্থা রাখবে কেন?

অধিবেশন শেষে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ, দবিরুল ইসলাম, আব্দুল মতিন খসরু, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ কয়েকজন শেখ হাসিনার দিকে এগিয়ে বিচারপতিদের অপসারণ সম্পর্কিত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে কথা বলতে থাকেন।

একই সময় প্রধানমন্ত্রীর পেছনের আসনে থাকা প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সামনের সারিতে বসা কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীও দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান।



কয়েকজন সংসদ সদস্য সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে ড. কামাল হোসেন এবং ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের অবস্থান তুলে ধরে বিচারপতিদের সরানোর ক্ষমতা সংসদের হাতে ফেরানো নিয়ে বিভিন্ন জটিলতার কথা বলছিলেন। শেখ হাসিনা তখন অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হতে হতেই বলেন, “আওয়ামী লীগের সব নেতাকে কেনা যায়। এটাই সমস্যা। শেখ হাসিনা ছাড়া।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ড. কামাল হোসেনের অবস্থান তুলে ধরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনের বিল পাস করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার কারণেই প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে ড. কামাল হোসেন একাধিকবার স্পষ্টভাবে সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। সর্বশেষ, সরকারের বিরোধিতা করে একটি রাজনৈতিক জোটও গঠন করেছেন। এছাড়া, ড. কামাল হোসেন প্রকাশ্যে দশম সংসদ নির্বাচন নিয়েও কঠোর সমালোচনা করছেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!