ফল, মাছসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিনের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে (পরীক্ষা) ব্যবহৃত ফরমালডিহাইড মিটার জেড-৩০০ নামে যে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হচ্ছে সেটিকে ত্রুটিযুক্ত চিহ্নিত করে সুপ্রিম কোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)।
সুপ্রিম কোর্টে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘ফরমালডিহাইড মিটার জেড-৩০০ নামক এই যন্ত্রটি ত্রুটিযুক্ত। যার কারণে এই যন্ত্র দিয়ে বিভিন্ন বাজারে যে ফরমালিন পরীক্ষা করা হচ্ছে তা সঠিক নয়।’
এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী বলেন, ‘এখন আমরা এই রিপোর্ট সংযুক্ত করে আদালতের অবকাশের পরে আবেদন করবো। আবেদনে ত্রুটিযুক্ত যন্ত্র বাতিল এবং এই যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষার পর কত হাজার মন ফল নষ্ট করা হয়েছে তারও হিসাব জানার জন্য আবেদন করা হবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যন্ত্রটির প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এনভাইরনমেন্টাল সার্জন কো. বলছে যে, এর কাজ বাতাসে ফরমালডিহাইড গ্যাসের পরিমাণ নির্ণয় করা। তাই ফলসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিনবিরোধী অভিযানে ব্যবহৃত এই যন্ত্রটিকে ত্রুটিপূর্ণ বলা হয়েছে।’
এসব তথ্য জানিয়ে গতকাল সোমবার প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছে বিসিএসআইআর।
গত ২১ জুলাই এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি হাবিবুল গনির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ফরমালিন পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রটি পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
বিসিএসআইআর-এর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক ও ন্যাশনাল ফুডস সেফটি ল্যাবরেটরির মহাপরিচালককে প্রতি ওই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
আদালতের ওই নির্দেশনা অনুসারে সোমবার প্রতিবেদন দাখিল করে বিসিএসআইআর।
এ যন্ত্র দিয়ে ফরমালিন পরীক্ষায় সরকারি কার্যক্রমকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছিলেন আদালত। রুলে স্বাস্থ্য সচিব, খাদ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রাবের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়।