জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাব্বির আহম্মেদ।
একই সঙ্গে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তাকে এমপি হিসেবে ঘোষণা করে নতুন গেজেট প্রকাশেরও দাবি জানান তিনি।
বুধবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে এক আবেদনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা সাব্বির আহম্মেদ এ দাবি জানান।
নির্বাচনী হলফনামায় প্রকৃত তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেয়া, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে এরশাদের সদস্য পদ বাতিলের এ দাবি জানান তিনি।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাস উল্লেখ করেন।
পাশাপাশি হলফনামায় এরশাদ বলেন, ১৯৯০ সালের ১২ ডিসেম্বর তার সব সার্টিফিকেট হারিয়ে গেছে মর্মে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৮ সালের ১৯ নভেম্বর সাধারণ ডায়েরি করার কপি (সার্টিফিকেট হারানোর জিডি) দাখিল করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন রেখে সাব্বির আহম্মেদ বলেন, ‘একজন এমপি বা সাধারণ নাগরিকের সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও পাসের সাল উল্লেখ করে তা পত্রিকায় প্রকাশ করে ডুপ্লিকেট কপি সংগ্রহ করার বিধান থাকলেও তিনি তা না করে শুধু জিডির কপি দিয়ে নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।’
অভিযোগে তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ঢাকা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের এইচএসসি পাসের সার্টিফিকেটের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, তিনি কোন কলেজ থেকে পাস করেছেন তার নামও আজ পর্যন্ত জানা যায়নি।’
হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বিদেশে থাকা অর্থের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং নির্বাচন কমিশনকে মিডিয়ার ‘মেরুদণ্ড বিহীন কমিশন’ বলে স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশনের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টার কারণে এরশাদের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের দাবি জানান নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়া সাব্বির আহম্মেদ। একই সঙ্গে নতুন গেজেটে প্রকাশ করারও দাবি জানান তিনি।
অভিযোগে সাব্বির আহম্মেদ উল্লেখ করেন, একই অপরাধে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের আবুল কাশেমের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে তার নিকটতম প্রার্থীকে এমপি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন।