ক ক ক ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের চোখ ধাধানো উন্নতি।২০০৬ সালের ১০ই এপ্রিল সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ‘টাইম’ ম্যাগাজিন বাংলাদেশকে সম্ভাবনার দেশ হিসেবে চিত্রিত করে বলেছে, ‘দেয়ার ইজ নিউ হোপ’ বা দেশটিতে নতুন আশার আলো দেখা দিয়েছে। টাইম বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দারিদ্র্য, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসকে মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ সুদিনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে পারে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) গঠনকে ‘বেগম খালেদা জিয়ার সর্বাধিক জনপ্রিয় পদক্ষেপ ’ বলে মন্তব্য করেছে টাইম।
ম্যাগাজিনটির মতে, সামাজিক উন্নয়ন খাতের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ, এমনকি প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দুর্নীতি, প্রধান দুইটি দলের মধ্যে হানাহানি, চাঁদাবাজি, ধর্মঘট, সরকারি নিপীড়নের সমালোচনা করা হয়। টাইম ম্যাগাজিনের এশীয় সংস্করণের ১০ এপ্রিল সংখ্যায় কভার স্টোরি বা প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করা হয়েছে বাংলাদেশকে নিয়ে।
‘রিবিল্ডিং বাংলাদেশ’ বা ‘বাংলাদেশ পূর্ণগঠন’ শিরোনামে দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইম। ম্যাগাজিনটির প্রচ্ছদ জুড়ে স্থান পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবি। টাইম ম্যাগাজিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সাক্ষাৎকারও ছেপেছে। এতে বাংলাদেশের বর্তমান সমস্যা ও এর আলোকিত ভবিষ্যত নিয়ে আলোকপাত করা হয়। অ্যালেক্স পেরির লেখা প্রতিবেদনটিতে গুরুত্ব পেয়েছে সরকারে জঙ্গি দমনের প্রয়াস, অর্থনৈতিক সম্ভবনার নানা দিক। উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২১ অক্টোবর ম্যাগাজিনটিতে অ্যালেক্স পেরিই বাংলাদেশকে নিয়ে ‘ডেইলি কার্গো’ শিরোনামে কভার স্টোরি করে দেশে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭০-এর দশকে হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তুলনা করেছিলেন একটি ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র সঙ্গে। কিন্তু দেশটি এখন বিভিন্ন খাতে ‘বিস্ময়কর অগ্রগতি’ লাভ করছে।
ইউএনডিপির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক উন্নয়ন খাতের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ, এমনকি প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। শিশু মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণ, শিশুদের টিকাদান এবং নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গত এক দশক বা তার চেয়ে বেশি সময়ে বাংলাদেশ বেশ ভালো করেছে। টাইম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। ৩ বছর ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল কমপক্ষে ৫ শতাংশ।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ২০০৬ সালে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। গত বছর প্রথম ছ’মাসে এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ ১৩৮ মিলিয়ন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫৪ মিলিয়ন ডলার। ১ বছরে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৪৪ ভাগ। মার্কিন প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাক্স বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় এমন ১১ দেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যেগুলো আগামীতে চীন, ব্রাজিল, ভারত ও রাশিয়ার সাফল্য অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে পারে। সহজে ব্যবসা করার সূচক বাংলাদেশ যেখানে ৬৫তম স্থান দখল করেছে, সেখানে ভারত ও চীনের অবস্থান যথাক্রমে ১১৬ ও ৯১তম।
প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংকরে কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিন্টিং আই ওয়ালিককে উদ্ধৃত করে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্পর্কে গত ১২-১৮ মাস সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোভাবে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ওয়ালিক বলেন, বাংলাদেশকে এখন দেখা হচ্ছে এমন একটি ছোট ইঞ্জিন হিসেবে যা কিছু একটা করতে পারে। ভারতের টাটা গ্রুপের ২৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাবের পর অবস্থার নাটকীয় উন্নতি ঘটে। প্রস্তাবিত বিনিয়োগ বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আসা মোট বিনিয়োগের পরিমাণের চেয়ে বেশী। ওয়ালিক বলেন, এ ধরনের ‘আস্থাভোট’ বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক সূচনাপর্ব হতে পারে।
টাইম ম্যাগাজিনে সেলিম চাকলাদার (৪৫) নামের ব্যবসায়ীর প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলা হয়, ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকায় আসেন। তখন তিনি একটি দোকান খুলে থাইল্যান্ড ও চীন থেকে কাপড় আমদানি করে বিক্রি করতেন। কিন্তু তার পরিবারের এখন ৬টি দোকান ও ৪০জন কর্মচারী। চাকলাদার তার দুই ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী। তার কথারই প্রতিধ্বনি করলেন টাটার নির্বাহী পরিচালক অ্যালান রোসলিং। টাইমকে তিনি বলেন, ‘দেশটিতে দারিদ্র আছে। কিন্তু এখানে দ্রুত বর্ধমান একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণী। ফলে দেশটি একটি আকর্ষণীয় বাজারে পরিণত হয়। লোকজন বলছে, আমরা ঝুকি নিচ্ছি। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা বলতে পারি, এ দেশটিতে যা আছে আমরা বিশ্বের অনেক দেশেই তা দেখতে পাইনা।’
প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে অবিশ্বাস ও হানাহানির কথা প্রতিবেদনে তুলে ধরে বলা হয়, রাজনৈতিক বিদ্বেষ অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। রাজনৈতিক কলহের কারণে গত ৩৫ বছরে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে আজ পর্যন্ত তা নিরাময় হয়নি। এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর মধ্যে কলহের কারণে দেশটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়, বাংলাদেশ হয়তো কখনোই এই রক্তপাত, দুর্নীতি ও অবিশ্বাস থেকে বের হতে পারবেনা। তবু একদা পৃথিবীর সবচেয়ে হতভাগা দেশটিতে এখন নতুন আশার সঞ্চার হয়। জঙ্গি দমনে বেগম জিয়ার সিদ্ধান্তের পর ধীরগতিতে হলেও বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে। তবে অনেক বিদেশী, এমনকি বাংলাদেশীরাও মনে করেন, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি লাভ করেছে তা আরো আগেই সম্ভব ছিল। অধ্যাপক আবুল বারাকাত টাইমকে বলেন, দেশে যদি পাঁচটি বছর সুশাসন থাকে তবে আমরা যতটা এগিয়ে যেতে পারব, তা কোনই জাতিই পারবেনা।
প্রতিবেদনে এসেছে জঙ্গি অভিযানের সফলতার কথা। বলা হয়েছে, শীর্ষ ৭ জঙ্গির মধ্যে বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান সহ শীর্ষ পাঁচজন এবং আরো প্রায় ১০০০জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বেগম জিয়া সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে ধর্মীয় নেতা ও জনসাধারণের সমর্থন পাচ্ছেন। এতে একজন পশ্চিমা কূটনীতিককে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘মাত্র ২-৩ মাস আগেও দেশ থেকে কোনো লোক এলে বলতাম, আমাদের ওপর গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু এখন সেটা সুদূর পরাহত বলেই মনে হচ্ছে। এখন আমরা দেখছি, পুরো জঙ্গি সংগঠনটি ধ্বংস হয়ে গেছে।’ প্রতিবেদনে ইতিবাচকভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে র্যাবকে।
প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ হয়তো প্রকৃতপক্ষে তার রক্তারক্তি, দুর্নীতি ও অবিশ্বাসের ইতিহাস থেকে কোনো দিনই পুরো পুরি বেরিয়ে আসতে পারবে না কিন্তু যে দেশটি এক সময় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ জায়গার একটি , সেখানে এখন আশা দেখা দিয়েছে। টাইম ম্যাগাজিনের কাছে দেশে দুর্নীতির বিস্তার, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, বিরোধী দলের অসহযোগিতা ও ইসলামী জঙ্গি দমন অভিযান নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
পাঠকদের জ্ঞাতার্থে উক্ত সাক্ষৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হল:
টাইম : ইসলামী জঙ্গি দমনের বিষয়ে কিছু বলুন।
খালেদা জিয়া: আমরা অনেককে গ্রেফতার করেছি। আর দুই-তিনজন নেতাকে ধরা বাকি আছে। প্রত্যেককেই আমরা ধরতে পারব। এটা সম্ভব হবে’ কারণ জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। এমনকি ধর্মীয় নেতারাও জঙ্গিদের সমর্থন করছেন না। আমরা তাদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছি। এদের কিছু নেতাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। অনেককে দেওয়া হয়েছে ৪০ বছরের কারাদন্ড।
টাইম : এ সমস্যা সমাধানের শেষ-পর্যন্ত বিদেশী কোন চাপ ছিল কি ?
খালেদা জিয়া : মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও ইন্টার পোলের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা একযোগে কাজ করছি। কিন্তু জঙ্গি দমনের উদ্যোগ এসেছে আমার পক্ষ থেকে। আমি আমার স¦রাষ্ট্র মন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছি এদের সবাইকে ধরতে। তারা সন্ত্রাসী। তারা ইসলামকে ব্যবহার করছে, তারা ধার্মিক মুসলমান নয়।
টাইম : এদের নিয়ন্ত্রন করাটা এত কঠিন হলো কেন ?
খালেদা জিয়া : জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে আমরা জানতাম না। ১৭ আগস্টের বোমা হামলার পর আমরা সেটা জানতে পারি এবং তাদের ধরি। (কিন্তু) বাংলাদেশ ধনী রাষ্ট্র নয়, আমার অগ্রাধিকার হলো স্বাস্থ্য ও শিক্ষা। তাই অন্য কিছুর জন্য আমরা অর্থ ব্যয় করতে পারিনি। সন্ত্রাসীদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে যা পুলিশের নেই। বর্তমানে আমরা (পুলিশের যা প্রয়োজন) তা দিয়েছি এবং তারা খুবই চমৎকার কাজ করছে।
টাইম : বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বলেছেন যে জঙ্গিরা আপনার ‘পোষ্য’।
খালেদা জিয়া : না, না, তারা আমার ‘পোষ্য’ নয়। এরা তাদেরই ‘পোষ্য’। আমি যখন ক্ষমতা নিই, তখন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল খুবই খারাপ। জনগণ ছিল ভীত-সন্ত্রস্ত। কেউ ঘুমাতে পারত না। কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারত না। আমরা তাদের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে সন্ত্রাস পেয়েছি।
টাইম : শেখ হাসিনার সঙ্গে এত ব্যক্তিগত শত্রুতা কেন?
খালেদা জিয়া : এটা ব্যক্তিগত নয়। আমি বন্ধু হতেই চাই। আমি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারলে খুশিই হব। অনেকবার আমি তাকে আমন্ত্রন জানিয়েছি, কিন্তু তিনি আসেননি। সমস্যা সমাধানে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি যদি সত্যিই সহায়তা করতে চান, তবে তাকে বলবেন, তিনি আসতে পারেন। কিন্তু তিনি না চাইলে আমার কিছু করার নেই।
টাইম : এ ধরনের রাজনৈতিক অচলাবস্থা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করবেনা?
খালেদা জিয়া : আমরা সংঘাতে জড়িত না, আমরা কাজ করছি। আমাদের অনেক উন্নয়ন কর্মসূচি আছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে যদি আপনি যান তাহলে ভালো রাস্তা, সেতু, বাড়ি, বিদ্যুৎ, নারী শিক্ষা দেখতে পাবেন। এগুলো সবকিছুই আমরা করছি। (আমাদের ) উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হয়নি। কিন্তু (বিরোধী দল) যখন প্রতিশ্রুতি ভেঙে দেশ জুড়ে হরতাল ডাকে, তখন উন্নয়ন ব্যাহত হয়। এ ব্যাপারে আমার কিছুই করার নেই।
টাইম : বিদেশীরা প্রায়ই বাংলাদেশকে অপরাধ, দুর্নীতি ও দারিদ্র্যের সমার্থক হিসেবে দেখে। এ দাবি কি সত্য?
খালেদা জিয়া : এগুলো সব বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। লোকজন এখানে এসে বুঝতে পারে, এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। বাংলাদেশ যদি এতই খারাপ হয়ে থাকে তাহলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা এত ভালো করছি কি করে। এত বিনিয়োগই বা আসছে কীভাবে? খাদ্য ও কাপড় নেই-এমন কেউ নেই। এখানে কোন ক্ষুধার্ত নেই। আর কী দেখতে চান?
টাইম : মেয়েদের শিক্ষিত করার বিষয়টিকে আপনি এত অগ্রাধিকার দিচ্ছেন কেন?
খালেদা জিয়া : দেশকে এগিয়ে নিতে, দারিদ্র্য দূর করতে, পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমাতে হলে তাদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাদের সমান অধিকার দিতে হবে। নারীদের প্রমাণ করতে হবে যে, তারা পুরুষের চেয়ে কোন অংশে কম নন। আমি যৌতুক প্রথার অবসানের চেষ্টা করছি। নারীরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করলেই শুধু তা সম্ভব হবে। আমাদের দেশ রক্ষণশীল হলেও জনগণ আমার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জনগণ আমাকেও গ্রহণ করেছে। এটাই বড় কথা
।
টাইম : মাঝে মাঝে মনে হয়, বাংলাদেশে যেন কোন সরকার নেই। আপনি কি কখনো আশাহীন হয়ে পড়েন?
খালেদা জিয়া : আমি একজন রক্তমাংসের মানুষ। (কখনো কখনো) আমার মনে হয়, সব ছেড়েছুড়ে দিই। কিন্তু জনগণ আমার প্রতি তাদের আস্থা দেখিয়েছে, আমি তাদের আস্থার অমর্যাদা করতে পারিনা।
টাইম : কাজের চাপ থেকে মুক্তি পেতে আপনি কি করেন?
খালেদা জিয়া : আমি একজন দাদি। আমার তিন নাতনীর সঙ্গে সময় কাটাই। আমি আমার বাগানেরও পরিচর্যা করি।