DMCA.com Protection Status
title=""

রাজনীতিতে নিলু’র ‘ডিগবাজী’ সমাচার

unnamed (41)বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটে ভাঙ্গন ধরিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল ১০টি দলের নতুন রাজনৈতিক জোট ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-এনডিএফ।

 

বিএনপি জোট থেকে বিভিন্ন সময় বেরিয়ে যাওয়া চারটি রাজনৈতিক দলের খণ্ডাংশ, যারা নিজ নিজ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কর্তৃক বহিষ্কৃত এবং নামসর্বস্ব আরো ছয়টি দলের সমন্বয়ে এই জোট গঠন করা হয়েছে। তবে জোটভুক্ত মাত্র একটি দল (এনপিপি) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত বলে জানা গেছে।

 

এনডিএফ’র চেয়ারম্যান হয়েছেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দল থেকে বহিষ্কৃত ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু। আর বিএনপি জোটের অন্যতম শরিক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা কর্তৃক সম্প্রতি বহিষ্কৃত দলটির অপর অংশের স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলমগীর মজুমদার হয়েছেন নতুন এ জোটের মহাসচিব।

 

রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দুপুরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনডিএফ’র আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেন নিলু।

 

কিন্তু এনডিএফ জোটের এই দুই শীর্ষ নেতা (নিলু-আলমগীর মজুমদার) রাজনীতির মাঠে ‘ডিগবাজ নেতা’ হিসেবে পরিচিত বলে দাবি করেছেন বিএনপি জোটের একাধিক শীর্ষ নেতা। এই দুই নেতার রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করেও এমন তথ্য জানা গেছে। জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে নিলুর দেয়া উত্তরের মধ্য দিয়েও এই তথ্যের সত্যতা মিলেছে।

 

‘এনডিএফ জোট’ অদূর ভবিষ্যতে বিএনপি জোটের সঙ্গে একীভূত হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ শওকত হোসেন নিলু বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি তাঁর ভুল (৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত) স্বীকার করে ‘সরি’ বলেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যদি তার ভুলের জন্য অনুতপ্ত হন, তাহলে বিএনপি জোটে যাওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখবো।’

 

জানা যায়, স্বাধীনতার পূর্বে ষাটের দশকে ন্যাপ সমর্থিত ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি করার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে হাতে খড়ি নবগঠিত এনডিএফ’র চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলুর। এরপর ছাত্র ইউনিয়ন ভেঙ্গে গিয়ে মতিয়া (মতিয়া চৌধুরী) গ্রুপ ও মেনন (রাশেদ খান মেনন) গ্রুপে বিভক্ত হলে মতিয়া গ্রুপে যান নিলু।

 

স্বাধীনতার পরে ছাত্র ইউনিয়নের মতিয়া গ্রুপ থেকে বেরিয়ে এসে ‘জাগো ছাত্রদল’ নামে একটি নতুন ছাত্র সংগঠন গঠন করে ওই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক হন নিলু। এরপর ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। নিলু বিএনপিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক এবং দলটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

 

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিচারপতি আবদুস সাত্তারের সরকারকে হটিয়ে ১৯৮২ সালে এইচ এম এরশাদ দেশে সামরিক শাসন জারি করলে বিএনপি বিভিন্ন খণ্ডে বিভক্ত হয়ে যায়। শেখ শওকত হোসেন নিলু তখন বিএনপি হুদা-মতিন (শামসুল হুদা ও অধ্যাপক ডা. আবদুল মতিন) অংশের সঙ্গে ছিলেন। এরপর বিএনপির হুদা-মতিন অংশ থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিএনপি দুদু-নিলু (খালেকুজ্জামান খান দুদু ও শেখ শওকত হোসেন নিলু) প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

পরবর্তীতে ‘বিএনপি দুদু-নিলু’ বিলুপ্ত করে প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি) গঠন করেন নিলু। এরপর ১৯৯৬ সালে বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত সাত দলীয় জোটের অংশীদার ছিলেন তিনি। কিন্তু বিএনপি ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে জোট নেতাদের মনোনয়ন বঞ্চিত করলে স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ ও পীরসাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে গঠিত ‘ইসলামী জাতীয় ফ্রন্ট’-এর অংশীদার হন নিলু।

 

২০০১ সালের নির্বাচনের পর নিজ দল ‘পিএনপি’ বিলুপ্ত করে এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন শেখ শওকত হোসেন নিলু। জাতীয় পার্টিতে তিনি দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ২০০৬ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির সম্ভাব্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘জাতীয় পার্টি নিলু-ফরহাদ’ (শেখ শওকত হোসেন নিলু ও এ্যাডভোকেট ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ) গঠন করেন তিনি।

 

তবে বিএনপির ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির সম্ভাব্য নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সে প্রচেষ্টা ভণ্ডুল হয়ে যায়। এরপর ২০০৭ সালের ১/১১-এর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ‘জাতীয় পার্টির নিলু-ফরহাদ’ অংশ বিলুপ্ত করে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) গঠন করেন। নিলু এনপিপির চেয়ারম্যান ও ফরহাদ মহাসচিব হন।

 

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে। এরপর ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাস হয়। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে মুছে যায় বহুল আলোচিত-সমালোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।

 

এমন প্রেক্ষাপটে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবির আন্দোলনে গতি আনতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের পরিসর বাড়িয়ে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন শেখ শওকত হোসেন নিলু। নিলুর এনপিপি ১৮ দলের অন্যতম শরিক হয়।

 

কিন্তু তৎকালীন ১৮ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে গত ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন।

 

কিন্তু গত জুলাই মাসের প্রথম দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এনপিপির এক আলোচনা সভায় দলটির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু দাবি করে বলেন, জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। জোটের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এরপর গত ১৭ জুলাই  গণভবনে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইফতার পার্টিতে যোগদান করেন নিলু। এর কিছুদিন আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত বিএনপি জোট ত্যাগকারী ন্যাপ ভাসানীর (একাংশ) চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হকের এক অনুষ্ঠানেও অংশ নেন তিনি।

 

 

এমন প্রেক্ষাপটে অবিভক্ত এনপিপির চেয়ারম্যান নিলু ও মহাসচিব ফরহাদের পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে গত ১৯ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙ্গে যায় ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক এই দলটি। তখন থেকেই দলটির এক অংশের নেতৃত্বে শেখ শওকত হোসেন নিলু এবং অন্য অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

 

এরপর গত ১১ আগস্ট ২০ দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে ফরহাদ কর্তৃক নিলুর বহিষ্কারের  ঘটনাকে সমর্থন জানানো হয়। একইসঙ্গে জোটের সঙ্গে আলোচনা ব্যতীত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইফতার পার্টিতে অংশ নেয়া এবং বেগম জিয়ার ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়া-সহ জোটবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার দায়ে নিলুর নেতৃত্বাধীন এনপিপিকে ২০ দলীয় জোট থেকে অব্যাহতি দিয়ে ড. ফরহাদের নেতৃত্বাধীন এনপিপিকে জোটভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।

 

পরবর্তীতে গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর কাকরাইলের রাজমনি ঈশা খাঁ হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি জোট ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন নিলু। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করে বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাকে জোট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া অচিরেই তিনি নতুন জোটের ঘোষণা দেবেন বলেও জানান নিলু।

 

এদিকে, নবগঠিত এনডিএফ’র মহাসচিব আলমগীর মজুমদারেরও রাজনীতিতে হাতে খড়ি হয় স্বাধীনতার পূর্বে ষাটের দশকে ন্যাপ সমর্থিত ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি করার মধ্য দিয়ে। স্বাধীনতার পরে কাজী জাফর আহমদের (বর্তমানে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক) নেতৃত্বে গঠিত ইউনাইটেড পিপলস পার্টির (ইউপিপি) অংশীদার হন তিনি। আলমগীর মজুমদার ইউপিপিতে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

 

এরপর ১৯৮২-৮৩ সালে হাজী দানেশ, আনোয়ার জাহিদ ও সিরাজুল হোসেন খানের নেতৃত্বে ‘গণতন্ত্রী পার্টি’ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মজুমদার। পরবর্তীতে আনোয়ার জাহিদ ও সিরাজুল হোসেন খান’রা এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান করলে আলমগীর মজুমদারও জাতীয় পার্টিতে চলে যান।

তারপর ১৯৮৮ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আনোয়ার জাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী (বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করলে তিনিও জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন।

 

পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে আনোয়ার জাহিদ ও সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) গঠনে ভূমিকা রাখেন আলমগীর মজুমদার। কিন্তু ১৯৯৬ সালে আনোয়ার জাহিদ বিএনপিতে যোগদান করলে তিনিও বিএনপিতে যোগদান করেন। বিএনপিতে আলমগীর মজুমদার দলটির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

 

এরপর ২০০৭ সালের ১/১১-এর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পুনর্গঠিত এনডিপির মহাসচিব মনোনীত হন আলমগীর মজুমদার। খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা হন দলটির চেয়ারম্যান।

 

পরবর্তীতে অবিভক্ত এনডিপির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার গত শনিবার রাজধানীর কাকরাইলের রাজমনি ঈশা খাঁ হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজাকে দল থেকে বহিষ্কার করে নিজেকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। এছাড়া এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলী নূর রহমান খান সাজুকে দলের (আলমগীর মজুমদারের নেতৃত্বাধীন অংশ) নতুন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।

 

ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার কথা ছিল আলমগীর মজুমদারের, যা সংবাদ সম্মেলনের আগে শেখ শওকত হোসেন নিলু জানিয়েছিলেন। কিন্তু জোট ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিয়ে জোটের মধ্যে ‘অধিকতর গণতন্ত্রের চর্চা নিশ্চিত করা’-সহ পাঁচ দফা দাবিতে ২০ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিনদিনের (৭২ ঘণ্টা) আল্টিমেটাম দেন তিনি। অন্যথায় বিএনপি জোট ত্যাগ করার হুমকি দেন মজুমদার।

 

আলমগীর মজুমদার মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ২০ দলীয় জোটে।

 

তবে এ বিষয়ে মতামত জানতে বৃহস্পতিবার রাতে আলমগীর মজুমদারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

এদিকে, ওই দিন (শনিবার) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত এবং ২০ দলীয় জোটের বিরুদ্ধে চক্রান্তের দায়ে মহাসচিব আলমগীর মজুমদারকে এনডিপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। একইসঙ্গে দলের যুগ্ম মহাসচিব মো. আব্দুল মোকাদ্দিমকে এনডিপির নতুন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়। আগের দিন শুক্রবার রাতে এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের সভাপতিমণ্ডলীর এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

 

এরপর, গতকাল বুধবার দুপুরে নয়া পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা দাবি করে বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনো দলের মহাসচিব কখনও চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার করতে পারে না। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত এবং ২০ দলীয় জোটের বিরুদ্ধে চক্রান্তের কারণে গত শুক্রবার আমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনডিপির সভাপতিমণ্ডলীর এক জরুরি সভায় মহাসচিব আলমগীর মজুমদারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সুতরাং উনি (মজুমদার) এখন এনডিপির কেউ নন।’

 

‘এনডিপিতে কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে’ বলে মন্তব্য করে গোলাম মোর্ত্তজা আরো বলেন, ‘ইতিপূর্বে ষড়যন্ত্রকারী এবং চক্রান্তকারিদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তাই যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদের এটি মনে রাখতে হবে।’

 

কিন্তু এরপরেও যদি কেউ এনডিপির নাম ভাঙিয়ে কোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে, তাহলে তাদের বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান দলটির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!