DMCA.com Protection Status
title="৭

মর্মান্তিক ঘটনাঃ স্ত্রীর সামনেই যুবকের আত্মহত্যা

suicide_hang-pic ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল স্বামীর মরদেহ। পাশেই বিলাপ করছিলেন স্ত্রী। তার চোখের সামনেই গলায় কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যার সব আয়োজন শেষ করেছিলেন স্বামী। তখন চিৎকার ছাড়া কিছুই করার ছিল না তার।

কারণ প্রথমেই তাকে খাটের সঙ্গে বাঁধেছিলেন স্বামী। এরপর কক্ষের দরজাটিও ভেতর থেকে বন্ধ করেন তিনি। স্বজনরা যখন দরজা ভেঙে স্ত্রীর বাঁধন খোলেন ততক্ষণে সব শেষ!

স্বামী মৃত, এটা বোঝার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন স্ত্রী।

শুক্রবার রাতে রাজধানীর মিরপুরের মণিপুর এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ রাতেই সাইফুল ইসলাম (৩২) নামে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

তার হতভাগী স্ত্রী চম্পা আক্তার (২৬) বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরও তিনি স্বাভাবিক হননি।

তার কাছ থেকে স্বামীর আত্মহননের কারণ জানতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ কর্মকর্তা ও স্বজনরা বলছেন, পারিবারিক কলহের জের ধরেই স্ত্রীকে বেঁধে আত্মহত্যা করেছেন সাইফুল।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী, মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসিফ ইকবাল জানান, রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মণিপুরের ৭৯৬ নম্বর, ছয়তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে ঘটনাটি ঘটে। চার কক্ষের বাসায় সাইফুল ও তার স্ত্রী চম্পা ছাড়াও চম্পার বোনের পরিবার থাকে।

সাইফুল ও চম্পার সাত মাসের এক সন্তান আছে। সাইফুল ইসলামীয়া চক্ষু হাসপাতালে চাকরি করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ঘটনার ব্যাপারে এসআই আসিফ ইসবাল বলেন, সাইফুল ও চম্পার কক্ষে আর কেউ ছিল না। পাশের কক্ষে এক গৃহশিক্ষক চম্পার বোনের ছেলেকে পড়াচ্ছিলেন। হঠাৎ কক্ষের ভেতরে চিৎকারের শব্দ পান সেই গৃহশিক্ষক। এর মধ্যে চম্পা বিলাপ করে বলছিলেন, ‘ফাঁস দিতেছে, ফাঁস দিতেছে। বাঁচাও বাচাও…।’

গৃহশিক্ষক দেখেন, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। পরে তিনিও চিৎকার করে স্বজনদের জড়ো করেন। এক পর্যায় তারা দরজা ভেঙে দেখেন, খাটের সঙ্গে বাঁধা চম্পা আর সাইফুল সিলিং ফ্যানের সঙ্গে লুঙ্গি দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছেন। আর তার স্ত্রী চম্পার হাত, বুক ও কোমর খাটের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের কাপড় দিয়ে বাঁধা। চম্পার বাঁধন খোলার আগেই সবাই নিশ্চিত হন সাইফুল বেঁচে নেই। চম্পার বাঁধন খোলার পরই তিনি স্বামীর নিথর দেহ দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

স্বজনদের বরাত দিয়ে এসআই আসিফ ইকবাল আরও বলেন, চম্পা কিছুই বলতে পারছেন না। তাকে একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তার সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে বেঁধে সাইফুল আত্মহত্যা করেছেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!