এবার ফেসবুকে ছেলেদের সঙ্গে প্রেম ও সময় নষ্ট না করতে মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীদের আহ্বান জানালেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী।
শেষে মন্ত্রী নিজেকে গানের ভক্ত হিসেবে উল্লেখ করে মঞ্চে গান ধরলে পুরো ক্যাম্পাস গানে গানে মুখর হয়ে ওঠে। সবাই মুখে মুখে গান গেয়ে উঠলেও ছাত্রীরা মন্ত্রীকে ‘পাগল’ বলে হৈ চৈ শুরু করে।
রোববার দুপুরে ওই কলেজের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছেলে বন্ধুর সঙ্গে প্রেম করে সময় নষ্ট করো না। তোমাদের কলেজের স্বাধীন জীবনকে হেলায় নষ্ট করে রাষ্ট্রের বোঝা হয়ো না। দেশকে ভালোবাসতে হবে। দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।’
ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে অপমৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যতই সুন্দরী বা কালো হও না কেন ভালোভাবে লেখাপড়া করে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারলে জাতি তোমাদের স্মরণ করবে। তোমাদের মধ্যে আনন্দ থাকতে হবে।’
কলেজের নতুন ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মন্ত্রী এসময় ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যে দিন চলে যায় সে দিন আর ফিরে পাওয়া যায় না। ফেসবুক আর প্রেম করে সময় নষ্ট না করে মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করবে। মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে নিজের পায়ে তোমাদের দাঁড়াতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহজানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো শহীদুল্লাহ, পুলিশ সুপার (এসপি) তোফায়েল আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান বাবুল, প্রভাষক আব্দুল মালিক, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জাকারিয়া আহমদ।
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি সংস্কৃতির মানুষ। গানবাজনা আমার প্রিয়।’ এরপর মন্ত্রী মঞ্চেই গান ধরেন, ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি….’। মন্ত্রীর গানের সঙ্গে সবাই গলা মিলিয়ে গেয়ে ওঠেন। কলেজের সব শিক্ষার্থী আর সুধীজনের সমস্বর কণ্ঠে ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে ওঠে।
এভাবে গানে গানে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করতে চাইলেও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর সমালোচনাও করে ছাত্রীরা। দর্শকসারিতে থাকা বিপুল সংখ্যক ছাত্রীরা এসময় মন্ত্রীকে পাগল বলে হৈ চৈ শুরু করে। এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানের নীতি নির্ধারকরা হিমিশিম খেয়ে যান।