বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঈদুল আজহার দিনে বিদেশি কূটনীতিক, দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক, দলীয় নেতা-কর্মীসহ সর্বসাধারণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
সকাল ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকাল ১১টা থেকে এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি জানান, বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠান শুরু হবে। পরে একে একে বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক, দলীয় নেতা-কর্মীসহ সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান শেষে তিনি যাবেন দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া। এর আগে সকালে গুলশানের বাসভবনে নিকট আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে বাণী দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
এই বাণীতে তিনি উল্লেখ করেন, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-ক্রোধকে পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিবেদিত হওয়া আমাদের কর্তব্য। কোরবানির যে মূল শিক্ষা তা ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত করে মানব কল্যাণে ব্রতী হওয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ সম্ভব। বিশ্বাসী হিসেবে সে চেষ্টায় নিমগ্ন থাকা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য।
ঈদুল ফিতরে দলের কেন্দ্রীয় বেশিরভাগ নেতা ঢাকায় থাকলেও এবারের ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেশিরভাগ নেতাই ঢাকা ছেড়েছেন। জানা গেছে, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবার ঈদ করবেন নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও।
এছাড়া এমকে আনোয়ার, আসম হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবার ঈদ করবেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়। তবে মির্জা আব্বাস, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া রাজধানী ঢাকায় ঈদ করবেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে।