DMCA.com Protection Status
title="৭

লতিফ সিদ্দিকীর বাসা এখন মৃত্যুপুরী

লতিফ সিদ্দিকী {focus_keyword} লতিফ সিদ্দিকীর বাসা এখন মৃত্যুপুরী kk90b2gr e1412001708595ঢাকা: নেই কোনো কোলাহল। নেই কোনো নেতাকর্মীদের পদচারণা। যেন এক মৃত্যুপুরী। পুলিশ পাহাড়া ছাড়া আর কিছুই নেই। এই মৃত্যুপুরী অন্য কোথাও নয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর রাজধানীর হেয়ার রোডের মন্ত্রিপাড়ার বাসা। ধলেশ্বরী নামের এই বাসাটিতে এখন ঝুলছে তালা।

লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও কাছের মানুষ ছিলেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ৬৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে গেলে তার সফরসঙ্গী হিসেবেও ছিলেন এই লতিফ সিদ্দিকী। অথচ সেই নেতা ও সাবেক মন্ত্রীর বাসায় এখন তালা।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার আগেও দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা অভিনন্দন জানাতে এসেছিলেন এই ধলেশ্বরীতে। কিন্তু নিউইয়র্কে বিতর্কিত মন্তব্যের পর পরিস্থিতি বদলে যায়।

লতিফ সিদ্দিকীর বাসায় তালা ঝোলার খবরে মন্ত্রিপাড়ায় চলছে নানা আলোচনার ঝড়। যেখানে গত কয়েকদিন আগেও লতিফ সিদ্দিকীর বাসার সামনে ছিল দলীয় নেতাকর্মীদের ভিড়। নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ, মহানবী (সা.) ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের পর দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সেই প্রতিবাদের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিক তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন।

সরেজমিনে লতিফ সিদ্দিকীর বাসায় গিয়ে দেখা গেছে, ২০ নম্বর হেয়ার রোডে ধলেশ্বরী বাড়ির মূল ফটকে ঝুলে আছে তালা। নেতাকর্মীদের নেই কোনো পদচারণা। বাড়ির দরজার সামনে পুলিশের পাহাড়া। দেখা মেলেনি বাড়ির কেয়ারটেকারেরও।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর গত শুক্রবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘অযাচিত মন্তব্য করে লতিফ সিদ্দিকী নিজেই বেকায়দায় পড়েছেন। দল বা সরকার বেকায়দায় পড়েনি। তবে রাষ্ট্রপতি হজ থেকে দেশে ফেরার পরই তার মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের আদেশ কার্যকর হবে।’

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!