দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ একের পর এক শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মামলা এবং সেসব মামলায় অভিযোগ পত্র দিয়ে বিএনপিকে সরকার চাপে রাখার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। এ ধরণের কার্যক্রম নেতাকর্মীদের ওপর সাময়িক প্রভাব ফেললেও আন্দোলন দমাতে পারবে না বলে মত দিয়েছেন তারা। বরং এ ধরণের কার্যক্রম সরকার বিরোধী আন্দোলন আরো জোরদার করবে বলেও মনে করছেন বিএনপি নেতারা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেয়া হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও।
বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, আন্দোলন কর্মসূচিতে যাতে নেতাকর্মীরা স্বতঃ:স্ফূর্তভাবে অংশ নিতে না পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সরকার এ ধরণের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ৫২টি মামলার ২৪টিতে দেয়া হয়েছে অভিযোগ পত্র। পাশাপাশি অধিকাংশ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় এরই মধ্যে অভিযোগ পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া দেশব্যাপী হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রয়েছে কয়েক হাজার মামলা।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা অবশ্যই আন্দোলন করব, সেখানে যদি সরকার চাপ অনুভব করে তবে তো আমাদের কিছু করার নাই। সরকার আমাদেরকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে চাপে রাখার চেষ্টা করছে যাতে আমরা আন্দোলন করতে না পারি।
তবে এ ধরণের কার্যক্রম নেতাকর্মীদের মধ্যে সাময়িক ভীতি তৈরি করলেও আন্দোলন থেকে দূরে সরাতে পারবে না বলে মনে করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেন, জনগণ এসব বে আইনি কাজকর্ম থেকে মুক্তি চায়, পরিত্রাণ চায়। এটা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হলো যে সরকার এসব বে আইনি কার্যকলাপ করতে উৎসাহিত করছেন তাদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা।