লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রাখার অপচেষ্টা করছে।যে ভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে তাজুদ্দিন আহমদকে সরানো হয়েছে, সে ভাবেই তারা এগুচ্ছে। গভীর আক্ষেপে কথাগুলো বলেন লতিফ সিদ্দিকীর ছোট বোন সেলিনা সিদ্দিকী শুশু।
তিনি আরো বলেন, আজ যে ভাবে তিলকে তাল করে একটি ইস্যুকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ধর্মব্যবসায়ীদের কাছে ইচ্ছেকৃত ভাবে উচকে দেয়া হচ্ছে, তা ধর্ম নিরেপেক্ষ বাংলাদেশের ভবিষতের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর! তা থেকে আগামীতে কেউ রেহাই পাবে না।
শুশু দুঃক্ষ করে বলেন, আমাদের পরিবার বাংলাদেশের জন্মের সাথে জড়িত। যারা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারা মূলত মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধেই সুদূর প্রয়াসী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এরা দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নৎসাতে লিপ্ত। এরা নাস্তিকতা-ফতোয়ার অপবাদ ছড়িয়ে দেশেকে পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা পারিবারিক ভাবেই মুসলিম পরিবারের, সিদ্দিকী পরিবারের। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ধর্ম নিয়ে কোনো আপত্তিকর কথা বলেছেন, তার নজির নেই।
টরন্টোতে বসবাসরত সেলিনা সিদ্দিকী শুশু জানান, লতিফ সিদ্দিকী ঘরোয়া পরিবেশে একটি কথা বলেছেন। আর তা মোটেও হজ্বের বিরুদ্ধে না। তিনি নিজেও ১৯৯৮ সালে হজ্বব্রত পালন করেছেন। তাঁর বক্তব্যে হজ্বের অর্থনৈতিক বিষয়টির কথা বলেছিলেন। যা রূপ রং দিয়ে রঙ্গিণ করে একশ্রেণির মিডিয়া। সেখানে তো কোনো সাংবাদিক ছিলোনা। তাহলে কি ভাবে তা প্রচার হলো? বিদেশের মাটিতেও কালো বিড়াল উৎ পেতে আছে।
তাছাড়া সজিব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে যা সাজানো খরব প্রচার হচ্ছে, তাও সঠিক নয়। নিউ জার্সির ড. নূরুন্নবী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি গতকাল তার প্রতিবাদ করেছেন।তবে অনুষ্ঠানের লাইভ ভিডিওর বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
তিনি বলে,আজ এরশাদ লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি দাবি করে। তার অতীতের সকল নোংরা ইসিহাস এখনো জনগণ ভুলে যাননি।
লতিফ সিদ্দিকী শিগ্রী দেশে ফিরে যাবেন ইঙ্গিত দিয়ে শুশু বনেন, আমরা ছোটবেলা থেকে দেখেছি, ভাই জেলে যাচ্ছেন, জেল থেকে বেরুচ্ছে। কারাগার তার দ্বিতীয় ঘরবাড়ি। জীবনের ১৪/১৫ বছর তিনি সেখানেই কাটিছেন। তাই তিনি গ্রেফতারি, কারাবরণে মোটেও ভীত নন।
লতিফ সিদ্দিকী এখন কোথায় আছেন, এই প্রশ্নের জবাবে শুশু বলেন, আমার সাথে যোগাযোগ হয়নি। আমি সঠিক জানিনা।