ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে বাদ পড়েছেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এনিয়ে দুই বছরের মধ্যে এই মন্ত্রণালয়ের চার জন মন্ত্রী বদল হয়েছেন। এখন কে হচ্ছেন ৫ম মন্ত্রী সেটাই দেখতে অপেক্ষা এখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের।
লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ আসনে থেকে চারবার সংসদ সদস্য হয়ে ২০০৯ সালে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে পাঁচ বছর ছিলেন। দশম সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রিত্ব পান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একীভূত করা হয়। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার পর এক বছর না পেরোতেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার বিতর্কে বিদায় নিতে হয়েছে লতিফ সিদ্দিকীকে।
তার আগে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন রাশেদ খান মেনন, সাহারা খাতুন এবং রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। দুই বছরের মধ্যেই চার মন্ত্রী পেরিয়ে পঞ্চম মন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে এই মন্ত্রণালয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কর্মপরিকল্পনায় এই মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে মন্ত্রী বদলের ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে অগ্রগতি। প্রযুক্তি নির্ভর এই খাতে বুঝে ওঠার আগেই বদল হচ্ছেন মন্ত্রী।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার পর এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে অন্য কাউকে অর্পণ না করা পর্যন্ত রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬-এর বিধি ৩ (৪) অনুযায়ী এ মন্ত্রণালয় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বাদ পড়ার আগে থেকেই মন্ত্রণালয়ের কাজে নেমেছে স্থবিরতা। ফলে নতুন মন্ত্রী না আসা পর্যন্ত গতি পাচ্ছে না কাজে। প্রধানমন্ত্রী দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন গত মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন দীপু মনি। কিন্তু এবারের মন্ত্রিসভায় তার ঠাঁই মেলেনি।
প্রসঙ্গত, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে নবী (সা.), পবিত্র হজ, তাবলীগ জামাত, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কটূক্তি করেন। এর জের ধরেই মন্ত্রিসভা থেকে তাকে অপসারণ করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।