DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

আজ নীলফামারীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জনসভাঃ মঞ্চ সহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

1412418532দীর্ঘ ১৪ বছর পর বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নীলফামারীতে আসছেন। তাই বানের পানির মতো ছুটে আসছেন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

বৃহস্পতিবার নীলফামারী শহরের বড় মাঠে ২০ দলীয় জোটের আয়োজিত জনসভায় বিএনপির চেয়ারপারসন জোটনেত্রী খালেদা জিয়া বক্তব্য দেবেন।

দেশব্যাপী গুম-খুন-নির্যাতন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার, হয়রানি বন্ধ, ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগাম নির্বাচনের দাবিতে স্থানীয় ২০ দলীয় জোট আয়োজিত জনসভায় বিকেল ৪টায় বক্তব্য শুরু হবে বলে  জানিয়েছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।Nilphamari-c--1 {focus_keyword} মঞ্চ প্রস্তুত, খালেদার অপেক্ষায় নীলফামারীবাসী Nilphamari c 1

বেগম জিয়ার সভাস্থলের মঞ্চ বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন করা হয়। মাঠে এবং মাঠের বাহিরের শহর জুড়ে লাগানো হয়েছে ২২৫টি মাইক। আর প্রিয় নেত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে বানের পানির মতো ছুটে আসছে বিএনপি ও জোট নেতাকর্মীরা। শুধু তাই নয়, ভোর থেকেই নীলফামারীর বিভিন্ন উপজেলার হাজার হাজার নারী-পুরুষ জনসভাস্থলে জড়ো হতে শুরু করেছেন।

নীলফামারী বড় মাঠে ১৪ বছর আগে অর্থাৎ ২০০০ সালের ২০ জুলাই খালেদা জিয়া চার দলীয় জোটের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দিয়েছিলেন। তবে তার মাঝে বেগম জিয়া সর্বশেষ নীলফামারী এসেছিলেন ২০০৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর। সেসময় তিনি ৪ দলীয় জোটের পক্ষে ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় জেলা শহরের শহীদ মিনার চত্বরে পথসভা এবং জেলার ডোমার উপজেলা বাজার চত্বরে বক্তব্য দিয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে নীলফামারীর ৪ আসনেই বিএনপি তথা চার দলীয় জোটের প্রার্থীদের ভরাডুবি ঘটেছিল।

দীর্ঘদিন পর খালেদা জিয়ার নীলফামারী আগমন ঘিরে ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীরা যেন উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। এছাড়া নীলফামারীতে খালেদা জিয়াকে বরণে এবং জনসভায় যোগ দিতে ২০ দলীয় জোটের বিভিন্ন দলের কেন্দ্রিয় নেতারা ঢাকা থেকে বুধবার রাতেই নীলফামারীতে এসে অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে, সভামঞ্চ ও এর আশপাশের এলাকার সার্বিক নিরাপত্তায় এরই মধ্যে সমাবেশস্থলে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর (সিএসএফ) চৌকস একটি দল। এছাড়া পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে গোটা জেলা শহর জুড়ে। স্থানীয় পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি রংপুর থেকে নীলফামারী নিয়ে আসা হয়েছে পুলিশের অতিরিক্ত আর আর এফ (রেঞ্জ রির্জাভ ফোর্স)। বেগম জিয়ার জনসভা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে পুলিশ প্রশাসন সকল প্রকার সহযোগিতা করছেন বলে জানান বিএনপির কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

অপরদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, নীলফামারীর এই জনসভা থেকে অবৈধ সরকারের পতনের ডাক দিতে পারেন আমাদের জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

এ প্রসঙ্গে ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, গত ৫ জানুয়ারির অবৈধ নির্বাচনকে প্রতিহত করতে গিয়ে নীলফামারীতে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের অসংখ্য নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তাই বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবি নিয়ে অবৈধ সরকার পতনের আন্দোলন নীলফামারীর জনসভা থেকে শুরু করা হবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. আনিসুল আরেফিন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সামছুজ্জামান জামান প্রমুখ। তবে এ সময় সভাস্থলে দেখা পাওয়া যায়নি ২০ দলের শরীক অপর কোনো দলের নেতাকর্মীদের।

বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে সড়ক পথে নীলফামারীর উদ্দেশে ঢাকাস্থ নিজের গুলশানের বাসভবন ছাড়েন খালেদা জিয়া। বগুড়া জেলা সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন শেষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নীলফামারীর উদ্দেশে বগুড়া ছাড়বেন  তিনি। বগুড়া থেকে রংপুরে হয়ে নীলফামারী জেলা সার্কিট হাউসে পৌঁছাবেন খালেদা জিয়া। সেখানে দুপুরের খাবার গ্রহণ ও বিশ্রাম শেষে বিকেল ৪টায় ২০ দলীয় জোট আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন।

 

এদিকে, খালেদা জিয়ার নীলফামারী আগমনের চিত্রতা ভিন্নমাত্রায় রূপ নিয়েছে। সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার জুড়ে এবং বিভিন্ন স্থানে ৭ শতাধিক তোরণ স্থাপন এবং জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিপুল সংখ্যক প্যানা ব্যানার লাগানো হয়েছে। নেত্রীর আগমনকে ঘিরে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গণসংযোগ ও দফায় দফায় সভা-সমাবেশ করেছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!