চট্টগ্রাম: হজ, হযরত মুহাম্মদ (স.) ও তাবলীগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্যকারী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কুশপুতুল পুড়িয়েছে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার উপস্থিতিতে লতিফের কুশপুতুলে ‘ঘৃণাসূচক’ পাথরও নিক্ষেপ করা হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর লালদীঘি ময়দানে এক বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের পবিত্র মাটিতে কোনো ধর্মদ্রোহীর স্থান নেই। আওয়ামী লীগ অতীতে ধর্মাদ্রোহীদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে। এবারও ধর্মাদ্রোহী লতিফ সিদ্দিকীকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হবে।’
এসময় লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মহিউদ্দিন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে যখন বিশ্বসভায় উজ্জ্বল করে চলেছেন তখন দেশি-বিদেশি চক্রান্ত্রকারী মহল বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টির কু-উদ্দেশ্যে বিশাল অংকের অর্থ দিয়ে লতিফ সিদ্দিকীকে দিয়ে ইসলাম ও নবীর (স.) বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ধর্মদ্রোহী দাউদ হায়দারকে এবং শেখ হাসিনা তসলিমা নাসরিনকে দেশ থেকে বিতাড়ন করেছেন। লতিফ সিদ্দিকীকেও ন্যূনতম ছাড় দেয়া হবে না।’
সংগঠনের মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এসএম মরতুজা হোছাইন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসেম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, এনামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।