জামায়াতের ডাকা দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার হরতাল রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। শেষ হবে মঙ্গলবার ভোর ৬টায়। এর আগে বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে দলটি। দলের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে তিনদিনের হরতালসহ ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াত।
সকাল নয়টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাজধানীতে জনজীবন স্বাভাবিক। ছোট বড় সব ধরনের যান চলাচল করছে। লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও রাজধানী থেকে কোন দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
এদিকে দলটির অন্যতম শীর্ষপর্যায়ের নেতা মীর কাসেম আলীর রায় সামনে রেখে আরও নতুন কর্মসূচি দিতে পারে জামায়াত। রবিবার রায় ঘোষণার পর লাগাতার হরতাল, বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা দিতে পারে বলে তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়।
জানা গেছে, জামায়াত নেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে রায় হলে লাগাতার হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। শনিবার নাটোরে ২০ দল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘নেতাদের হত্যা করে সরকার জামায়াতকে শেষ করে দিতে চায়। আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দিয়েছে। আমির নিজামীকে ফাঁসির ষড়যন্ত্র করছে। এর প্রতিবাদে হরতাল ডাকা হয়েছে। আর কোনো রায় হলে সপ্তাহব্যাপী হরতাল দেয়া হবে।’
জানা গেছে, ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালনের নামে নাশকতার চেষ্টা করবে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে তারা প্রকাশ্য মিছিল-সমাবেশ করে শক্তি প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিয়েছে। রাজধানীসহ দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে ঝটিকা মিছিল, পিকেটিং এর পাশাপাশি বোমাবাজি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার একদিনের হরতালে তাদের নেতাকর্মীরা হরতাল পালনের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতার চেষ্টা করেছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোসহ গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল-বোমার বিস্ফোরণও ঘটানো হয়।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান শনিবার এক বিবৃতিতে দলের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ সকল কারাবন্দি নেতার মুক্তির দাবিতে দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণভাবে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।