৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ওইদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ৪ থেকে ৫ লাখ লোকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন দলটির নেতারা। ৩ নভেম্বর বিকেল ৩টায় ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ‘সমাবেশটি হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ।’
সমাবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আশা করছি ৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগ যে জনসভা করবে তা বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জনসভা হবে। এ জনভায় অন্তত ৪-৫ লাখের লোকের সমাগম ঘটানো হবে।’
হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘এই জনসভার মধ্য দিয়ে আমরা দেখাতে চাই এখন আর দেশের মানুষ জামায়াত-শিবিরকে চায় না। মানুষ এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দেখতে চায়।’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি বিরাট জনসভা করা হবে। যা আওয়ামী লীগের অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে দেবে।’
জনভায় কী পরিমান জনসমাগমের আশা করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে কামরুল বলেন, ‘অন্তত ৪-৫ লাখ লোক জড়ো করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, ‘এ জনসভার মধ্য দিয়ে বোঝা যাবে জামায়াত-শিবির ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে আর সাধারণ মানুষ চায় না। আমরা থানা, ওয়ার্ড ও ই্উনিয়নে সর্বোচ্চ নির্দেশনা দিয়েছি। জামায়াত-শিবির কখনই মাঠে দাঁড়াতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না।’
জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দী অবস্থায় নির্মমভাবে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় ও বেদনাবিধুর এই দিনটি প্রতিবছর জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।