আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, গত ৫ জানুয়ারি সংবিধান সম্মতভাবেই নির্বাচন হয়েছে।
কিন্তু কেউ কেউ এখন মধ্যবর্তী নির্বাচন চান। তাতে কিছু যায় আসে না। সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালেই নির্বাচন হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেঞ্জ লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত ‘সংবিধান দিবস ও ‘জনক’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাহাত্তরের সংবিধান ছিল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সংবিধান উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, ‘এই সংবিধানকে ভেঙ্গে তছনছ করার মূল হোতা ছিল জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতাকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ও বাংলাদেশের রাজনীতি ধ্বংস করার জন্য জিয়াউর রহমান দায়ী।’
তোফায়েল বলেন, ‘৫ জানুয়ারির এই নির্বাচন ছিল বৈধ। আর বৈধ এমপি বলেই আইপিও ও সিপিইউ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন স্পিকার শিরনি শারমিন চৌধুরী এবং সাবের হোসেন চৌধুরী। তাই সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন ২০১৯ সালের আগে হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমাদের দেশের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।’
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংবিধান প্রণেতা ব্যরিস্টার এম আমীর উল ইসলাম, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু, গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র কামাল পাশা প্রমুখ।