DMCA.com Protection Status
title="৭

সোহাগপুর ‘চেনেনই না’ কামারুজ্জামান!

 

download (80)একাত্তরে যে গ্রামে ১২০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যার জন্য ফাঁসিতে ঝুলতে হচ্ছে মো. কামারুজ্জামানকে, সেই স্থানটি জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা চেনেনই না বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা।

যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের চূড়ান্ত রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত এই জামায়াত নেতার ভাই-ভাতিজা এই দাবি করে বলেছেন, তাদের স্বজন ‘সুষ্ঠু’ বিচার পাননি।


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দুটি অভিযোগে জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সোমবার আপিলের রায়ে সোহাগপুর হত্যাকাণ্ডের জন্য মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে অন্যটিতে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।শেরপুরের বাজিতখিলা ইউনিয়নের কুমড়ি মুদিপাড়া গ্রামের মৃত ইনসান আলী সরকারে পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে চতুর্থ কামারুজ্জামানকে একাত্তরে নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর হত্যাকাণ্ডের জন্য মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

কুমড়ি মুদিপাড়া গ্রামে কামারুজ্জামানের পৈত্রিক বাড়িতে বর্তমানে তার বড় দুই ভাই বসবাস করছেন, যেখানে মঙ্গলবার গিয়ে পুলিশ পাহারা দেখা যায়।

কামারুজ্জামান অনেকদিন ধরে ঢাকায় থাকেন। যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চূড়ান্ত রায়ের পর মঙ্গলবার তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে এনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।

রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কামারুজ্জামানের বড় ভাই আলমাস আলী দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে বলেন, “আমার ভাইয়ের সুষ্ঠু বিচার হয় নাই। আমার ভাই কোনও অপরাধ করে নাই, আমার ভাই নির্দোষ।”

ভাতিজা হাবিবুর রহমান বলেন, “সোহাগপুরের স্পটটাও তো উনি (কামারুজ্জামান) চেনেন না। তার বিচারের নামে অন্যায় করা হয়েছে।”

কামারুজ্জামানের বোন আমেনা বেগম বলেন, “আমার ভাই কোনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। এগুলো সব মিথ্যা।”

১৯৭১ সালে সোহাগপুরে একসঙ্গে ১২০ জনকে হত্যার পর ওই গ্রামের বহু নারীকে অকালে বৈধব্য নিতে হয়েছিল, এই কারণে ওই গ্রামটি বিধবা পল্লী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালে ওই সোহাগপুরের নির্যাতিত অনেকে সাক্ষ্য দেন তখনকার আল বদর নেতা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে। গুলির মুখ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিও সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন।

তার ভিত্তিতেই ট্রাইব্যুনালের রায়ে বদর কমান্ডার কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, যা বহাল রাখে আপিল বিভাগও।

এই রায়ের পর সোহাগপুরের নির্যাতিত এবং তাদের স্বজনরা বলছেন, এতদিন পর তারা শান্তি পেলেন এবং কামারুজ্জামানের কার্যকর হলে তাদের পূর্ণ সন্তুষ্টি আসবে।

রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কামারুজ্জামানের ইউনিয়ন বাজিতখিলার চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে বলেন, “এটা ভাল-মন্দ বিচারের বিষয় নয়। সর্বোচ্চ আদালতে যে রায় হয়েছে, তা আমাদের মেনে নিতেই হবে।”

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!