প্রমাণ হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া। সনদ বাতিলও হয়েছে। কিন্তু এখনো বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন পাঁচ সচিব। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন তারা। কিন্তু এরপর চুপ-জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা হওয়ায় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের।
দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়ার অভিযোগ প্রমাণ, পরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তাদের সনদ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি। প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এই কর্মকর্তারা ভুয়া সনদ দাখিল করে চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছেন।
এদিকে, অনেকের বাড়িয়ে নেয়া চাকরির মেয়াদও ফুরিয়ে আসছে। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে অবসরে যাচ্ছেন, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাসুদ সিদ্দিকী। আর ডিসেম্বরে অবসরে যাবেন, স্বাস্থ্য সচিব নিয়াজ উদ্দিন মিঞা।বিভাগীয় শাস্তি নেয়ার দায়িত্ব এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু ঢিমে তালে এগোচ্ছে এই মন্ত্রণালয়। এই পাঁচ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। গেল সপ্তাহে তারা নোটিশের জবাবও দিয়েছেন। কিন্তু তারপর সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা নেই।
তবে চাকরি থেকে অবসরে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
বেসরকারিকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান, মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামানের মুক্তিযোদ্ধা সনদ স্থগিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারী পাঁচ সচিবের চাকরিতে বহাল থাকার প্রতিক্রিয়ায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেছেন, এ ধরনের কার্যকার্যকলাপের ফলে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমে যাবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
এছাড়া সাবেক সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান বলেছেন, পাঁচ সচিবের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধিতে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।