একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসি যে কোনো সময়ই কার্যকর করা সম্ভব। আপিল বিভাগ ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখায় এই রায় কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আপিল বিভাগ ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে। এরফলে রায় কার্যকরে আর বাধা নেই। তবে এটি সরকারের নির্বাহী সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। কারণ আপিল বিভাগের আদেশে বিচারপতিরা বলেছেন, সরকারের নির্বাহী সিদ্ধান্তেই কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হবে’।
আসামিপক্ষের রিভিউ পিটিশনের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, ‘আসামিপক্ষের রিভিউ পিটিশনের বিষয়ে আমি জানি না। তারা জমা দিয়েছে কি না তাও বলতে পারবো না।’মাহবুবে আলম বলেন, ‘কামারুজ্জামানের বিচার হয়েছে একটি বিশেষ আইনে। তার ক্ষেত্রে জেলকোড প্রযোজ্য হবে না। কাদের মোল্লার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তাই যে কোনো সময়ই তার ফাঁসি সরকার দিতে পারে।’
তবে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা। তারা বলছেন, কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রে জেল কোড প্রযোজ্য হবে। জেল কোড অনুযায়ী আদালতের পূর্ণাঙ্গ আদেশের ২১ দিন থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ফাঁসি কবার্করের বিধান রয়েছে। তাই কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকের এখনই করা যাবে না।
কামারুজ্জামানের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রিভিউ আবেদন করেছি। রিভিউ আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে। আদালতের আদেশের পর সাজা কার্যকরের প্রশ্ন আসবে।’
রিভিউর বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, ‘কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে রিভিউ প্রযোজ্য হয়নি। কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রেও রিভিউ প্রযোজ্য হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, আমাদের প্রস্তুতি সব সময় খাকে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আদালত থেকে রায় কার্যকরের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আসে নাই। আসলে আমরা ব্যবস্থা নিব।
৩ নভেম্বর জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের আপিল মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে তার মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রাখেন চার সদস্যের আপিল বিভাগ। এর আগে ২০১৩ সালের ৯ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-২ তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়।