দেশে এই মুহুর্তে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪১২টি সরকারি পদ শূন্য রয়েছে। এইসব শূন্যপদগুলো দ্রুত পূরনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ২১ অক্টোবর মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। এরপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো এ ব্যাপারে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছে। বেশির ভাগ নিয়োগ এই অথর্বছরেই শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে শূন্য পদ পূরণের জন্য তাগাদা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয়গুলো নিজ উদ্যোগেই এগুলো পূরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। শূন্য পদের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব না হলেও সহনশীল পর্যায়ে নামানোর চেষ্টা চলছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ সৃষ্টি ও নিয়োগ-প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তিনি এও বলেছেন, এসব নিয়োগ যেন ন্যায়ভিত্তিক ও প্রতিযোগিতামূলক হয়।
এ প্রসঙ্গে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, নতুন পদ সৃষ্টি ও শূন্যপদ পূরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। যৌক্তিকতা থাকলে পদ সৃষ্টি বা শূন্য পদ পূরণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাধারণত আপত্তি করে না।
নতুন বছরের শুরু থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), সমাজসেবা অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, পাট অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণির পদে ২০ হাজার লোক নিয়োগ করা হবে।
কামাল নাসের চৌধুরী বলেন, জনবল ঘাটতি স্বাভাবিক কাজের ব্যাঘাত ঘটায় এবং যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সেবার পথ রুদ্ধ করে। তাই সরকারের আন্তরিকতা ও অগ্রাধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে এই অথর্বছরের মধ্যে নিয়োগ চূড়ান্ত করতে না পারলেও প্রক্রিয়া শুরু ও তা এগিয়ে নেওয়ার কাজ অনেক দূর এগোবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।