কুমিল্লা মহানগরের ধর্মপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েদের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের গোপন ভিডিও ধারন করে পরবর্তিতে ব্যাবসার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই কবীর চৌধুরী তন্ময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়ি এবং ত্রিধাবিভক্ত গনজাগরন মঞ্চের একাংশের নেতা বলে নিজেকে দাবী করে থাকে।সম্প্রতি প্রয়াত অধ্যাপক পিয়াস করিমের মরদেহ শহীদ মিনারে না নিতে সরকারী মদদে বাধাদান কারীদের মধ্যে অন্যতম।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধর্মপুর এলাকার পশ্চিম চৌমুহনীর মা-মনি টেলিকমের সত্ত্বাধিকারী কবির চৌধুরী তন্ময় বিভিন্ন মেয়েদের সাথে শরীরিক সম্পর্কের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে তা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে বিপুল অর্থ আয় করছে। সম্প্রতি স্থানীয় একটি মেয়ের সাথে তার সম্পর্কের দৃশ্যের ভিডিও ফুটেজ এলাকার অধিকাংশ যুবকের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, দরিদ্র পরিবারের সন্তান তন্ময় প্রায় এক যুগ আগে সদর দক্ষিণ উপজেলার বাগমারা এলাকা থেকে তার পরিবারের সাথে শহরের চম্পকনগরের সাতরায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকে। রিক্সাচালক বাবা আবদুল খালেকের সামান্য আয় এবং ঝি এর কাজ করা মায়ের কষ্টার্জিত আয়ে তাদের সংসার চলতো।
অভাব অনটনের মধ্যেও তার পিতামাতা তাকে লেখাপড়া করানোর চেষ্টা করে। কিন্তু নবম দশম শ্রেণীতে থাকাকালেই সে বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা শুরু করে। তাকে দেখলে বুঝা যেতোনা সে কোন অভাবী পরিবারের সন্তান। কোন রকমে এসএসসি পাশ করে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে তন্ময়। যদিও তার রাজনীতি ছিল লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করা। অবৈধ আয়ে কিছু টাকার মালিক হয়ে তন্ময় টেলিকমের ব্যবসা শুরু করে। সেই সুবাদে অনেক মেয়ে দোকানে মোবাইল ফোনে টাকা লোড করতে আসলে তাদের নাম্বার টুকে রাখত। পরবর্তীতে তাদের সাথে মোবাইলে কথা বলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
এক পর্যায়ে জড়িয়ে পড়ে শারীরিক সম্পর্কে। শুধু তাই নয় সে সম্পর্কের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে মোটা অংকের টাকা আয় করতো। এ ফাঁদে পা দেয় তার দোকানের পাশবর্তী ভিক্টোরিয়া কলেজের কয়েক ছাত্রী।
এক সময় স্থানীয় রাজনীতিতে জড়ালে এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজনের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। বর্তমানে সে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের জেলা সভাপতি। এই পদের পরিচয়ে তার নারী কেলেংকারির মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
সুদৃশ্য বিলবোর্ডে নিজের ছবি এলাকার মোড়ে মোড়ে লাগিয়ে জানান দেয় তার অনেক প্রভাব। কোন রকমে এসএসসি পাশ করলেও সে মেয়েদের কাছে পরিচয় দেয় ইংরেজিতে অনার্স মাস্টার্স হিসেবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তন্ময়ের ঘনিষ্ট এক বন্ধু জানায়, এতদিন কুমিল্লার বাইরে এসব ভিডিও ব্যবসা করলেও ইদানিং তা এলাকার উঠতি বয়সের যুবকদের মধ্যে ব্যপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
এছাড়া টেলিকম ব্যবসার অন্তরালে সে অনেক বিবাহিত নারীর সাথেও জড়িয়ে পড়েছে পরকীয়ায়। এর ফলে অনেক সংসারে দেখা দিয়েছে দাম্পত্য কলহ। সম্প্রতি তন্ময় বিয়ে করেছে।
তন্ময় গর্ব করে নারী ঘটিত রমরমা কাহিনী তার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে। প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে তার খোলামেলা সম্পর্কের ভিডিও ফুটেজও দেখায়। বন্ধুদের কাছে সে লেডি কিলার হিসেবে পরিচিত।
এবিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আ ফ ম আহসান উদ্দিন টুটুল বলেন, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ ভুঁইফোড় সংগঠন। তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগ নেই। এরকম অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে আমরাও তার শাস্তি দাবি করছি।