যশোর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খান টিপু সুলতান ও তার স্ত্রী ডাক্তার জেসমিন আরার বিরুদ্ধে পুত্রবধূ শামারুখ মেহজাবিন সুমিকে (২৪) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক এমপি খান টিপু সুলতান। তিনি দাবি করেন, পুত্রবধূ সুমি আত্মহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির ৬ নং রোডের ১৩ নং বাসা থেকে সুমির লাশ উদ্ধার করে ধানমন্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেয়া হয়। তার লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
নিহত সুমী যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের মেয়ে। তিনি রাজধানীর হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সুমীর পরিবার সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যশোরের সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের ছেলে হুমায়ুন সুলতান সাদাবের সাথে শামারুখ মেহজাবিন সুমির বিয়ে হয়। সুমি পেশায় চিকিৎসক। আর হুমায়ুন সা’দাফ আইনজীবী।
নিহত সুমীর বাবা নুরুল ইসলাম ও চাচা আমিনুল ইসলামের দাবি, সুমী এফসিপিএস পরীক্ষা দিতে চাইলে তাকে বারবার বাঁধা দেয়া হয় শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে। শ্বশুর শাশুড়ি কখনো চাইতো না সুমি এফসিপিএস কোর্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করুক। বিভিন্ন সময়ে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। সবশেষ বৃহস্পতিবার পরিকল্পিতভাবে শ্বশুর-শাশুড়ি সুমিকে পিটিয়ে হত্যা করে বাথরুমে ঝুলিয়ে রাখে। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে ধানমণ্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেয়া হয়।
অপরদিকে সাবেক এমপি খান টিপু সুলতান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুপুরে সুমী বাথরুমে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনার পর তার পরিবারের স্বজনদের জানানো হয়েছে। থানায় নিজে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’
হত্যার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। সে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক আসলে ঘটনা কী। আমরা কোন কিছুই গোপন করিনি।’
তবে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘মেহজাবিনের আজ একটা ফোন আসে। স্বামী তখন জিজ্ঞাস করে কে ফোন করেছে? জবাবে মেহেজাবিন বলেন, আমার এক বান্ধবী ফোন করেছিল। পরে মেহজাবিনের স্বামী সাদাব ওই নম্বরে ফোন করলে একটি ছেলে ফোনটি রিসিভ করে। এর পরই মেহজাবিন আত্মহত্যা করে।