DMCA.com Protection Status
title="৭

৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্নকারীরা অর্বাচীন: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

98861_1সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে যারা এখনও কথা বলছেন তারা অর্বাচীন।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাই নেই। ওই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে যারা নানা কথা বলছেন সেটির জবাব বিশ্ববাসীই দিয়ে দিয়েছে।’


স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সিপিএ চেয়ারপারসন এবং সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী আইপিইউ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় রবিবার সংসদে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ‘কমনওয়েলথ্‌ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) এবং ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) শীর্ষ পদে বাংলাদেশকে ভোট দিয়ে জয়ী করার মাধ্যমে বিশ্ববাসী এই জবাব দিয়েছে।’

এর আগে ধন্যবাদ প্রস্তাবটির ওপর দীর্ঘ সোয়া চার ঘণ্টা আলোচনা হয়। এতে ৩৫ জন সদস্য আলোচনায় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর ধন্যবাদ প্রস্তাবটি কন্ঠভোটে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। ধন্যবাদ জানানোর কারণে স্পিকার নিজেও সদস্যদের কৃতজ্ঞতা জানান।

কিশোরগঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাল-তলোয়ার আর যা নিয়েই নামুন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে অনেক চক্রান্ত হয়েছে। এই চক্রান্ত শুধু দেশেই হয়নি, এর সঙ্গে অনেকেই জড়িত ছিল। নির্বাচন ঠেকাতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল। জনগণের সমর্থন ছিল বলে আমরা সেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সফল হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার রজতজয়ন্ত্রী উদযাপন করবো, তখন বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সিপিএ ও আইপিইউ’র শীর্ষ পদে বাংলাদেশ থাকায় আমরা এখন গণতন্ত্রের বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বিরাট সম্মানের। সারাবিশ্বের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রেখে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন আমাদের ওপর পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সিপিএ ও আইপিইউ সারবিশ্বে গণতন্ত্রের ধারক-বাহক। একইসঙ্গে এই দুটি ফোরামের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হওয়া বিরল ঘটনা। অথচ এই সিপিএ ও আইপিইউ’র সদস্যপদ আমরা তিনবার হারিয়েছিলাম।’

ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, ‘আজ যারা আমাদের নির্বাচন নিয়ে কথা বলে, একসময় তারাই বলেছিল আমি নাকি তদবির করে বাংলাদেশকে টেস্ট ম্যাচে খেলতে নিয়ে গিয়েছি, বাংলাদেশের নাকি কোনো যোগ্যতাই ছিল না। এখন সাবিক আল হাসান সেঞ্চুরি করেছে, ১০টি উইকেট পেয়েছে। আমাদের বাংলাদেশ, টাইগাররা পারে।’

এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্বকারী স্পিকার শিরীন শারমিনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি এগিয়ে যান, আমি আপনাকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবো।’

তবে আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের চৌধুরী গতকাল সংসদে না থাকায় রসিকতা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাকে নিয়ে এত আনন্দ উৎসব, তিনিই যদি না থাকেন তাহলে কাকে ধন্যবাদ দেবো।’

এই ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর বিকেলে যখন এই আলোচনা শুরু হয় তখন সৌজন্যতার খাতিরে অধিবেশনে সভাপতিত্ব করা থেকে বিরত থেকে নিজ কার্যালয়ে চলে যান শিরীন শারমিন। তখন অধিবেশনে সভাপতিতত্ব করেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া।

পরে আলোচনার শেষ ধাপে আবার অধিবেশন পরিচালনা করতে আসেন শিরীন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চেয়ারে থেকে নিজের সম্পর্কে শুনতে স্পিকার একটু দ্বিধাবোধ করছিলেন। পরে চিফ হুইপকে দিয়ে আমিই তাকে ডেকে এনেছি।’

পরে ধন্যবাদ প্রস্তাবটি ভোটে পাস হয়। স্পীকার তার বক্তব্যে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!