ছাত্রলীগকে বিসিএস পরীক্ষায় বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়া এইচটি ইমামের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উনি পেয়েছেন টা কী? নিজের ছেলেকে এমপি বানিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন। এরপর আর কী চান?
সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার ৩৫তম বৈঠক শেষে একজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসন থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন। তানভীর ইমাম গত ১৫ নভেম্বর উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ১২ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের এক সভায় সরকারি চাকরিতে ছাত্রলীগকে বিশেষ সুযোগ দেওয়া ও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিষয়ে বির্তকিত মন্তব্য করেছিলেন এইচ টি ইমাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিডিয়াতে বিতর্কের ঝড় উঠে।
এইচ টি ইমাম রবিবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হওয়ার দাবি করেন। এই বিষয়টিও সত্য নয় বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মন্ত্রী জানান, বৈঠকে সিনিয়র মন্ত্রীদের কয়েকজন ছাত্রলীগের সদস্যের চাকরি ও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিষয়ে এইচ টি ইমামের দেওয়া সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গ তোলেন মন্ত্রিসভায়। এ সময় বিবিসি বাংলায় দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গও আসে।
মন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, বিষয়টি শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। উনি হয়তো টেলিফোন করেছিলেন। যে কোনো কারণেই হোক কথা বলা হয়নি।
বৈঠকে এইচ টি ইমাম সংক্রান্ত আলোচনায় ওবায়দুল কাদের, তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমুসহ সিনিয়র মন্ত্রীরা অংশ নেন। তাদের মধ্য থেকে এইচ টি ইমামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উঠে। তবে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সাড়া দেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাকে কোন জায়গায় রাখতে হবে এটা আমি জানি। সেভাবেই কাজ করছি। দেশও ভালো চলছে। কিন্তু, হঠাৎ হঠাৎ বিতর্কিত কথা বলে সরকারকে বিপাকে ফেলছেন কেউ কেউ। একইসঙ্গে বিরোধী দলের মুখে ইস্যু তুলে দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমালোচকরা বসে থাকে সমালোচনা করার জন্য। তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেবার মানে কি?