মন্ত্রীর পদ মর্যাদায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, জয়ের নিয়োগ খণ্ডকালীন ও অবৈতনিক।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে জয়ের বিপুল অংকের বেতন নিয়ে দেয়া লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য ও পরে তার বেতন নিয়ে আলোচনা এবং তার বেতন সম্পর্কে রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্যের মধ্যে আনুষ্ঠানিক এই নিয়োগ দেয়া হলো।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ১৭ নভেম্বর প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়। আর তা প্রকাশ পায় বুধবার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতাবলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
আরও বলা হয়, ‘এই দায়িত্ব পালনে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। এই নিয়োগ খণ্ডকালীন ও অবৈতনিক।’
সজীব ওয়াজেদ জয় দির্ঘদিন থেকেই প্রধান মন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে দ্বায়ীত্ব পালন করে আসছিলেন,সম্প্রতি আওয়ামী থেকে বহিষ্কৃত মন্ত্রী লতীফ সিদ্দিকী উপদেষ্টা হিসাবে জয়ের বেতন মাসিক ২লক্ষ ডলার উল্লেখ করে বক্তব্য দিলে দেশব্যাপি তোলপাড় পড়ে যায়।এই সমালোচনা বন্ধ করতেই তাকে অবৈতনিক পদ প্রদানের নাটকটি করা হলো বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
ইকবাল সোবহান চৌধুরীকেও উপদেষ্টা নিয়োগ:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাশাপাশি একই দিন সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরীকেও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ইকবাল সোবহান চৌধুরীর এই নিয়োগ খণ্ডকালীন ও অবৈতনিক হলেও সরকারি কিছু সুবিধা তিনি পাবেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- প্রয়োজনীয় জনবলসহ অফিস, সরকারি যানবাহনসহ সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাবেন তিনি।
এছাড়া দায়িত্ব পালনকালে ইকবাল সোবহান মন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে আসন গ্রহণ করবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
উল্লেখ্য, ইকবাল সোবহান চৌধুরী ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত মেয়াদের শেষ ভাগে তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইংরেজি দৈনিক অবজারভারের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।