সম্প্রতিক সময়ে বিএনপির আন্দোলনের হাকডাক দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করা ছাড়া আর কিছুই নয় মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কটূক্তি করার মাশুল বিএনপিকেই দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে আক্রমণ করে রাজনীতিতে বিএনপির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।’
শনিবার সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার মধুমতি নদীতে নির্মিত শেখ লুৎফর রহমান সেতু পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ছাত্রলীগের বর্তমান কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ থাকায় বর্তমান সময়ে ছাত্রলীগের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। ছাত্রলীগের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠ বিচার চলছে। এ সব কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বজিৎ হত্যায় জড়িতরা পার পায়নি। অতীতেও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখনও নেয়া হবে। কোনো অপকর্মকারীকে ছাড় দেয়া হবে না।’
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক চলে গেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ শেষ হবে। ওই বছরই সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।’
টুঙ্গিপাড়ারার পাটগাতী শেখ লুৎফর রহমান সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে উল্লেখ করে আগামী ২০১৫ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী এ সেতুর উদ্বোধন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে, মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে মন্ত্রী পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এ সময় সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান, তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মো. ইকবাল, নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরণ রায়, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব আলী খান, আবুল বশার খায়ের, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র মো. ইলিয়াস হোসেন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।