যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী ইমিগ্র্যান্টদের বৈধতা দিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন তার আওতায় খুব কমসংখ্যক বাংলাদেশী ইমিগ্র্যান্টই উপকৃত হবেন। বৈধতা লাভের আওতায় যারা আসবেন তাদের বেশির ভাগই মেক্সিকান, যাদের আমেরিকান স্বজনেরা ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
তবুও আশার কথা, প্রেসিডেন্ট রক্ষণশীল রিপাবলিকানদের প্রচণ্ড বাধার মুখেও সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে অবৈধদের বৈধতা দিতে এগিয়ে এসেছেন। ওবামার আদেশের বাস্তবায়ন আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হতে পারে। এর আগে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিধিবিধান জারি করা হবে। ইমিগ্র্যান্ট রাইটস প্রবক্তারা ওবামার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তারা ওয়ার্ক পারমিট লাভের অধিকারী হয়ে বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পেলেও যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বিবেচিত হবেন না অর্থাৎ গ্রিন কার্ড পাবেন না। এ ধরনের অবৈধ কোনো ইমিগ্র্যান্টের ওপর ডিপোর্টেশনের আদেশ থাকলে তারা কোনো অপরাধে জড়িত ছিলেন না, এমন প্রমাণ দিয়ে ডিপোর্টেশনের আদেশ রদ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করার অনুমতি পাবেন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির হিসাব অনুযায়ী এই ক্যাটাগরিতে বৈধতা লাভের জন্য আবেদন করতে পারবেন প্রায় ৩৭ লাখ অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট, যাদের সন্তান যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছে।
ওবামার ঘোষণা এই ক্যাটাগরির ইমিগ্র্যান্টদের মধ্যে স্বস্তির সৃষ্টি করেছে, বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা সাময়িক হলেও তাদেরকে অবিরত ডিপোর্টেশনের আশঙ্কার মধ্যে থাকতে হবে না।গত ২০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসিডেন্ট ওবামা হোয়াইট হাউজ থেকে টেলিভিশনে প্রচারিত আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রায় ৫০ লাখ আনডকুমেন্টেড ইমিগ্র্যান্টকে বৈধতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষণায় তিনি বলেছেন, যারা অন্তত পাঁচ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছেন এবং যাদের সন্তান আমেরিকান সিটিজেন বা গ্রিন কার্ডধারী স্থায়ী বাসিন্দা তারা তাদের অপরাধমুক্ত অতীতের প্রমাণ দিয়ে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সুযোগ পাবেন। তবে এ বৈধতা হবে তিন বছরের জন্য।
এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট ওবামা তার ঘোষণায় ‘ডেফারড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল’ (ডাকা) কর্মসূচির আওতা সম্প্রসারণ করেছেন, যার ফলে আরো তিন লাখ তরুণ বৈধতা লাভের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০১২ সালে চালু করা এই কর্মসূচিতে তরুণদের যাদের বয়স সীমা ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে ও ৩১ বছরের বেশি নয় তারা বৈধতা পাওয়ার জন্য উপযুক্ত বলে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ওবামার নির্বাহী আদেশে সেই বয়সসীমার অবসান ঘটবে।
এ ছাড়া ২০১২ সালে ঘোষিত কর্মসূচিতে ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসের আগে যুক্তরাষ্ট্রে আগতদের বৈধতার জন্য আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল, ওবামার ঘোষণা অনুযায়ী এখন ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসের আগে যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে এমন যেকোনো তরুণ বৈধতা লাভের জন্য আবেদন করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এই শ্রেণীর আনডকুমেন্টেড তরুণরা তিন বছরের জন্য ডিপোর্টেশনের কবল থেকে মুক্ত থাকবে। এমপ্লয়মেন্ট বেজড গ্রিন কার্ডধারীদের স্বামী বা স্ত্রীরা আগে ওয়ার্ক পারমিট পেতেন না, নতুন আদেশে তারাও ওয়ার্ক পারমিট লাভ করবেন। উল্লেখ্য, প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চদক্ষ ৬৫ হাজার এমপ্লয়মেন্ট ভিসা ইস্যু করা হয়। এ ছাড়া বিনিয়োগ ভিসার কোটা বর্তমান সংখ্যার চেয়ে আরো ২০ হাজার বৃদ্ধি করা হবে।
প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্বাহী আদেশের আওতায় অপরাধী ও সাম্প্রতিককালে সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারীদের ক্ষেত্রে ডিপোর্টেশন অব্যাহত থাকবে। ঘোষণায় তিনি বলেছেন, ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ডিপোর্টেশন তালিকার শীর্ষে থাকবে সন্দেহজনক সন্ত্রাসী, গুরুতর অপরাধী, সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা এবং সম্প্রতি অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশকারীরা।
ওবামা তার ঘোষণায় আরো বলেছেন, ‘সম্পৃক্ত করে নেয়াই আমাদের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থার অংশ। লাখ লাখ মানুষ, যারা এ দেশে ট্যাক্স না দিয়ে বসবাস করছেন, নিজেদের খেয়ালখুশি মতো চলছেন, আর রাজনীতিবিদেরা এটাকে ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করছে মানুষকে ভয় দেখাতে ও নির্বাচনের সময়ে ভোট বাগাতে, আমরা তার অবসান ঘটাতে চাই। আনডকুমেন্টেড ইমিগ্র্যান্টদের ঢালাওভাবে ক্ষমা করে দেয়া সঙ্গত নয়। অন্য দিকে ঢালাওভাবে ডিপোর্ট করা অসম্ভব ব্যাপার এবং আমাদের বৈশিষ্ট্যের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।’ প্রেসিডেন্টের ঘোষণা অনুযায়ী তার গৃহীত ব্যবস্থা হবে মূলত ডিপোর্টেশনের ভীতি থেকে থেকে স্বস্তি প্রদান।
অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী : ওবামার নির্বাহী আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ওবামার নির্বাহী আদেশে ৫০ লাখ অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট বৈধতা লাভের সুযোগ পাবে, এটিকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় ও সাহসী পদক্ষেপ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন এবং এ দেশে তাদের সন্তানের জন্ম হয়েছে তারা এ আদেশের আওতায় তিন বছরের জন্য ওয়ার্ক পারমিট পাবেন। কিন্তু তাদেরকে গ্রিন কার্ড দেয়া হবে না। তাদেরকে ডিপোর্ট করার প্রক্রিয়া রহিত করা হবে। কিন্তু সাময়িক বৈধতা লাভের ফলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোথায়ও বা নিজ নিজ দেশে গেলে আবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না।
অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী আরো বলেন, যারা তিন বছরের জন্য ওয়ার্ক পারমিট পাবেন মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত এ ওয়ার্ক পারমিট নবায়নসংক্রান্ত নতুন কোনো আইন প্রণীত না হলে তা বাতিল হয়ে যাবে। এ ছাড়া ইমিগ্রেশন কোর্টে যাদের কেস পেন্ডিং রয়েছে তারাও প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের আওতায় পড়বেন না। তিনি আশা করছেন, ২০১৫ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ এ সংক্রান্ত নীতিমালা ও বিধিবিধান জারির পর প্রেসিডেন্টের আদেশের বাস্তবায়ন শুরু হবে। এ আদেশের আওতায় কত সংখ্যক বাংলাদেশী ইমিগ্র্যান্ট উপকৃত হবেন জানতে চাইলে অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশীদের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবুও ২০ থেকে ২৫ হাজার বাংলাদেশী ওবামার আদেশে উপকৃত হবে বলে তার ধারণা।
মঈনুদ্দীন নাসের : বিশিষ্ট সাংবাদিক, ইউএস কংগ্রেসনাল ফেলো ও ইমিগ্র্যান্ট রাইটস অ্যাকটিভিস্ট মঈনুদ্দীন নাসেরের কাছে প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্বাহী আদেশের ওপর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওবামার আদেশ বিশাল হিমশৈলের একটি খণ্ডাংশ মাত্র। তা সত্ত্বেও রিপাবলিকানদের প্রচণ্ড বাধার মুখে এটি তার সাহসী, বলিষ্ঠ ও অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এটি বাস্তবায়িত হলে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত অনেক সমস্যার সমাধান হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক কোটি দশ লাখ অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট রয়েছে। প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশে যদি ৪০ বা ৫০ লাখ অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট বৈধতা লাভ করে তাহলে অবশিষ্ট ইমিগ্র্যান্টদেরকে কি ডিপোর্ট করা হবে? তাদের সমস্যার কি কোনো সমাধান হবে না?
তা ছাড়া বর্তমান আদেশে যাদেরকে তিন বছরের জন্য ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হবে তারা পর্যায়ক্রমে অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ আমেরিকান সরকার একবার কাউকে বৈধতা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করলে সেখান থেকে পিছিয়ে গেছে এমন দৃষ্টান্ত নেই। কারণ যুক্তরাষ্ট্র পরিবার বিভক্ত না করার নীতি অনুসরণ করে। প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের আওতায় আনুমানিক ২০ থেকে ৫০ হাজার বাংলাদেশী বৈধতা লাভের সুযোগ পাবেন বলে মঈনুদ্দীন নাসের মনে করেন।
মোহাম্মদ এন মজুমদার : বিশিষ্ট আইনজীবী, নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিল থেকে ‘চ্যাম্পিয়ন ফর ইমিগ্র্যান্টস রাইটস’ প্রকেমেশন প্রাপ্ত কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ এন মজুমদার প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্বাহী আদেশকে যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান ইমিগ্রেশন জট নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করছেন। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, যারা একাধিক্রমে পাঁচ বছর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং যাদের সন্তানদের আমেরিকান সিটিজেনশিপ বা গ্রিন কার্ড রয়েছে তারা প্রেসিডেন্ট ওবামার আদেশের আওতায় ডিপোর্টেশনের কবল থেকে রক্ষা পাবেন এবং তাদেরকে তিন বছরের জন্য ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হবে এবং তা নবায়নযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এটি অবৈধদের ক্ষেত্রে সাময়িক প্রটেকশন হলেও এক ধাপ অগ্রগতি এবং এ জন্য প্রেসিডেন্ট প্রশংসার দাবিদার। তিনি বলেন, যারা সাময়িক বৈধতা পাবেন তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যেতে পারবেন। ওবামার আদেশসংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিধিবিধান পেতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। তবে তিনি ধারণা করছেন যে, যাদের ডিপোর্টেশন সংক্রান্ত ও অ্যাসাইলাম কেস কোর্টে পেন্ডিং আছে তারা প্রেসিডেন্টের আদেশের সুযোগ নিয়ে কোর্ট প্রসিডিংস ক্যান্সেল করার আবেদন করতে পারবেন।
তারা আমেরিকান সিটিজেন বিয়ে করলে নতুন করে অ্যাডজাস্টমেন্টের জন্যও আবেদন করতে পারবেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট যে সুযোগ দিয়েছেন তাতে সর্বাধিক সংখ্যক মেক্সিকান ইমিগ্র্যান্ট উপকৃত হবে। বাংলাদেশী ইমিগ্র্যান্টের সংখ্যানুপাতে তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ এর আওতায় আসবে বলে তিনি মনে করছেন। তবে যারা বৈধতা পাবেন তাদের আই-৯৪, বার্থ সার্টিফিকেট, ম্যারেজ সার্টিফিকেট, যুক্তরাষ্ট্রে অব্যাহত পাঁচ বছর বসবাসের প্রমাণ, ইউটিলিটি বিলস, ফ্যামিলি ফটোগ্রাফসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরি রাখা আবশ্যক, যাতে তারা সহজে বৈধতা লাভের সুযোগ নিতে পারেন।
নাসরিন আহমেদ : প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ঘোষণা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট নাসরিন আহমেদ বলেন, প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন বিষয়ক বিস্তারিত বিষয়গুলো জানতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। এর মধ্যে ইউনাইটেড স্টেটস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রকাশ করা হবে বলে তিনি মনে করেন। তবে নাসরিন আহমেদ ধারণা করছেন, ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো ইতোমধ্যে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যেমন স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্টমেন্ট, ফ্যামিলি অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট বেজড ইমিগ্রেশন ইত্যাদিরও নিষ্পত্তি দ্রুততর হবে। এ ছাড়া যাদের ওপর ডিপোর্টেশনের খড়গ ঝুলে আছে এবং যারা রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করে সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন
তাদের বিষয়গুলো নমনীয়ভাবে বিবেচনা করা হতে পারে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের ফলে। নাসরিন আহমেদের ধারণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ কর্মে জড়িত, চিহ্নিত টেররিস্ট, সন্দেহজনক টেররিস্ট, অপরাধী চক্রের সদস্য এবং বারবার অপরাধে লিপ্ত হয়েছেন এমন অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো নমনীয়তা প্রদর্শন করবে না। প্রেসিডেন্টের ঘোষণায়ও তাদের ডিপোর্ট করার ব্যাপারে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানোর সুযোগ রাখা হয়নি।