কক্সবাজারের উখিয়া সমুদ্র উপকূলের সাগর পথে মালয়েশিয়া আদমপাচারের অন্যতম হোতা রেজিয়া আক্তার ওরফে ‘ম্যাডাম’ অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন।তার বেপরোয়া কার্যকলাপে টেকনাফ উপকূল পরিচিত হয়ে উঠেছে বিমানবন্দর নামে।
গতকাল রোববার দুপুর ৩ টার দিকে কক্সবাজার হাসপাতাল রোড থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)তাকে গ্রেপ্তার করেছে। উপকূলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন কথিত ম্যাডামকে গ্রেপ্তারের দাবি জানালেও থানা পুলিশের সাথে সম্পর্ক ভাল থাকায় তিনি পার পেয়ে আসছিলেন।
গতকাল তার গ্রেপ্তারের খবরে উখিয়ার সোনারপাড়া, ইনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় লোকজনের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কক্সবাজার ডিবি পুলিশের ওসি আবুল হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের সদস্যরা মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম অভিযুক্ত রেজিয়া আক্তারকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগে উখিয়া থানায় ৩টি মামলা থাকলেও তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সমুদ্র উপকূলবর্তী পশ্চিম সোনারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ হোছন প্রকাশ কালা মাতুর ছেলে আরেক মানবপাচারকারীর গডফাদার নূরুল কবিরের (৪০) স্ত্রী রেজিয়া আক্তার। স্থানীয় সোনারপাড়া গ্রামের আব্দুস শুক্কুর, ডেইলপাড়া গ্রামের আনোয়ারা বেগম, ঘাট ঘর এলাকার আব্দুল মতলবসহ অসংখ্য লোক গতকাল জানান, উক্ত দুই জনই সিন্ডিকেট গড়ে তুলে উখিয়া থানা পুলিশ ও ইনানী ফাঁড়ি পুলিশের সহযোগিতায় বেপরোয়াভাবে মানবপাচার কাজ চালিয়ে আসছেন। তাদের মতে উক্ত ম্যাডামের আরেক ভাই বিজিবির সোর্স নামধারী জালালসহ ১৫/২০ জনের একটি সিন্ডিকেট রেজুখালের মোহনা, ঘাট ঘর, ডেইলপাড়া পয়েন্ট দিয়ে সমুদ্রপথে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় বেপরোয়াভাবে মানবপাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, রেজিয়া আক্তারের স্বামী মানবপাচারকারীর গডফাদার নূরুল কবির মাস খানেক ধরে মানবপাচারের মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন। গতকাল রোববার স্বামীর জামিনের ব্যাপারে কক্সবাজার আদালতে গেলে পথিমধ্যে রেজিয়া ডিবি পুলিশের ফাঁদে আটকা পড়েন। উখিয়া থানার ওসি অংসা থোয়াই বলেন, রেজিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে ৩ টি মামলার মধ্যে দু’টি মামলায় জামিনে থাকলেও একটি মামলায় তিনি পলাতক ছিলেন। মানবপাচারকারীদের সাথে পুলিশের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন ওসি।