DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

এখনও নিজ বিশ্বাসে অটল ধর্মদ্রোহী লতিফ সিদ্দিকীঃ গ্রেফতার নাটকের পর অবশেষে কারাগারে ভিআইপি অবস্হান

100186_1আত্মসমর্পণের পর কারাগারে লতিফ সিদ্দিকী * কোনো আইনজীবী ছিলেন না পক্ষে * ছোট গেটে মাথা নামিয়ে কারাপ্রবেশে অস্বীকৃতি * আদালত প্রাঙ্গণে জুতা প্রদর্শন

 

মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত আবদুল লতিফ সিদ্দিকী গতকাল গন মাধ্যমকে বলেছেন, 'আমি আমার বিশ্বাসে অনড় রয়েছি।' গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বারবার চেষ্টা করেও আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। দুপুর ১টার দিকে তার মোবাইল ফোন হঠাৎ করেই কিছু সময়ের জন্য সচল হয়ে ওঠে। ওই সময়ে তিনি সমকালকে জানিয়েছেন, তিনি আগের অবস্থানে থেকে স্বীয় বক্তব্যে অটল।
একাধিক সূত্র জানায়, গত রোববার রাতে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই গুলশানের একটি বাড়িতে আত্মগোপন করেন লতিফ সিদ্দিকী। তবে তার ওপর গোয়েন্দা নজরদারি ছিল। পরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ মহলের সঙ্গে কথাবার্তা বলে গতকাল দুপুর দেড়টায় ধানমন্ডি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

10487487_10205362358327563_7894773143479511506_nএর আগে সকালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারে এখন আর কোনো আইনি জটিলতা নেই। যে কোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। লতিফ সিদ্দিকী ধানমন্ডি থানায় আত্মসমর্পণের পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাকে গ্রেপ্তার করার প্রয়োজন হয়নি।

তিনি নিজেই আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশি কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দুপুর ২টা ৭ মিনিটে ওসির গাড়িতে করে লতিফ সিদ্দিকীকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। সেখানে একটি চেয়ারে বসেছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে সিএমএম আদালতের দ্বিতীয় তলার ২৮ নম্বর এজলাস কক্ষের লোহার খাঁচার কাঠগড়ায় ঢোকানো হয় তাকে। কাঠগড়ায় তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। ২টা ৩৫ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠার পর শুরু হয় শুনানি। এ সময় লতিফ সিদ্দিকী অনেকটাই স্বাভাবিক ছিলেন। এজলাসে উঠে বিচারক বলেন, আসামির কোনো জামিন আবেদন দেখছি না। তার পক্ষে কি কোনো আইনজীবী আছেন? লতিফ সিদ্দিকী জানান, তার পক্ষে আইনজীবী নেই। তবে তিনি নিজেই বক্তব্য রাখবেন।

এরপর বিচারক বাদীপক্ষে কে আছেন জানতে চাইলে আদালতে উপস্থিত মামলাটির বাদী অ্যাডভোকেট আবেদ রেজাসহ শতাধিক আইনজীবী সায় দেন। বিচারক বলেন, আসামির যেহেতু কোনো জামিন আবেদন নেই, তাই আপনাদেরও বলার কিছু থাকার কথা নয়। ওই সময় কাঠগড়ায় দন্ডায়মান লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি যেন শুনতে পাই এমনভাবে বলতে হবে। কারণ আমি কিছু বলতে চাই। এরপর মামলার বাদী আবেদ রেজা বলেন, ২০০ কোটি মুসলমানের প্রতিনিধি হিসেবে আমি মামলাটি করেছি। আমাদের কিছু বক্তব্য তো থাকবেই। এ সময় বিচারক বলেন, যেহেতু আসামির জামিনের আবেদন নেই, তাই আসামি কাস্টডি ওয়ারেন্টমূলে (সিডব্লিউ) জেলহাজতে যাবেন। এরপর তিনি এজলাস থেকে নেমে যান। বিচারক যখন এজলাস থেকে নামছিলেন, তখন লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি কিছু বলতে চেয়েছিলাম।


গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকলেও বাদীর পক্ষে ছিলেন শতাধিক। এদিকে আদালত প্রাঙ্গণে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে জুতা ও ঝাড়– মিছিল হয়েছে। তাকে ‘নাস্তিক-মুরতাদ’ বলেও সম্বোধন করেন ক্ষুব্ধ অনেকে। বেপরোয়া আচরণের কারণে বারবার আলোচনায় আসা লতিফ সিদ্দিকী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকেও নাটকীয় ঘটনার অবতারণা করেন।

কারা ফটকের পকেট গেট দিয়ে না ঢুকে তিনি প্রধান গেট খুলতে কারা কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করেন।একসময়ের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও ক্ষমতাধর সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এখন কারাগারে বন্দি। রয়েছেন ২৬ নম্বর সেলে। তার দোর্দ- প্রতাপে কিছুদিন আগেও তটস্থ থাকতেন রাজনৈতিক সহকর্মী থেকে শুরু করে সরকারি আমলারাও। যেখানে-সেখানে যাকে-তাকে অপদস্থ করার কারণে অনেকবারই সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করেননি তিনি। কিন্তু এবার তার ক্ষমতার দম্ভ চূর্ণ হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের মামলায় সাবেক এই মন্ত্রীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

 

বিচারক এজলাস থেকে নামার পর উপস্থিত আইনজীবীরা লতিফ সিদ্দিকীর উদ্দেশে ‘শেইম শেইম’ বলে ধিক্কার দিতে থাকেন। ওই অবস্থায় ২টা ৪২ মিনিটে তাকে কাঠগড়া থেকে নামিয়ে ফের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রায় ২০ মিনিট পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে আদালতপাড়া ছাড়ে একটি প্রিজনভ্যান। এ সময় লতিফ সিদ্দিকীকে বহনকারী গাড়ির দিকে ‘নাস্তিক-মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকী’ বলে আইনজীবীসহ অনেকেই জুতা ছুড়ে মারেন। অনেকে থুতুও ছুড়ে দেন গাড়ি লক্ষ্য করে। কেউ কেউ দেখান ঝাড়–। এর আগে, লতিফ সিদ্দিকীকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় ঢোকানোর পর থেকেই আইনজীবীরা ‘নাস্তিক-মুরতাদ’ শ্লোগান দিয়ে জুতা মিছিল করেন।

লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম আদালতে মোট সাতটি মামলা হয়। এগুলোর মধ্যে অ্যাডভোকেট আবেদ রেজার মামলায় তাকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। অপর মামলাগুলোয় তাকে শিগগির গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানা গেছে। গত ১ অক্টোবর আবেদ রেজার করা মামলায় গত ২৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর গত সোমবার আবার তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাগাদাপত্র দেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় হজ, মহানবী (সা.) ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন লতিফ সিদ্দিকী। এ বক্তব্যের পর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। মামলাগুলোয় বলা হয়, তার বক্তব্য পৃথিবীর কোটি কোটি ইসলাম ধর্মের অনুসারী ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে।

সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে রোববার রাতে হঠাৎ ভারত থেকে ঢাকায় ফেরেন লতিফ সিদ্দিকী। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর লতিফ সিদ্দিকী বিমানবন্দর থেকে ওঠেন গুলশানে এক নিকটাত্মীয়ের বাড়ি। গত সোমবার রাতে তিনি ওই বাড়িতেই ছিলেন। এদিকে সোমবার তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজপথে নামে বিভিন্ন ইসলামি দল। হেফাজতে ইসলাম তাকে গ্রেপ্তারে বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে বৃহস্পতিবার হরতাল পালনের ডাক দেয়। সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে ডেকে লতিফ প্রসঙ্গে কথা বলেন। পরে রাতেই লতিফ সিদ্দিকীকে মঙ্গলবারের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ মহল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। অন্যথায় পরিণতি কী হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়। পরে নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবে লতিফ সিদ্দিকী আদালতে না গিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করার কথা জানান। সে অনুযায়ী রাতেই বিষয়টি মহানগর পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল সকালে ওপর মহলের সঙ্গে আলোচনা করে লতিফ সিদ্দিকী গুলশানের বাসা থেকে ওঠেন ধানমন্ডি থানা এলাকার একটি বাসায়। ওই বাসা থেকেই তিনি ধানমন্ডি থানায় হাজির হন।

ধানমন্ডি থানায় হঠাৎ আগমন

ধানমন্ডি  থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলালউদ্দিন জানান, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে লতিফ সিদ্দিকী থানায় এসে ওসির কক্ষে ঢোকেন। এ সময় তিনি আত্মসমর্পণ করবেন বলে ওসিকে জানান। কিন্তু ধানমন্ডি থানায় যেহেতু তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই তাই তাকে গ্রেপ্তারও করা যাচ্ছিল না। এ কারণে ওসি তার গাড়িতে করে তাৎক্ষণিক লতিফ সিদ্দিকীকে আদালতে নিয়ে যান।

ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ইফতেখার আহমেদ জানান, দুপুরে হঠাৎ করে লতিফ সিদ্দিকী উপস্থিত হয়ে তার কাছে জানতে চান ওসির কক্ষ কোনটি। তখন ডিউটি অফিসার সাবেক এই মন্ত্রীকে চিনতে পেরে পেছনের দিকে ডান পাশের কক্ষটি ওসির বলে জানিয়ে দেন। তখন লতিফ সিদ্দিকী একাই ওসির কক্ষে ঢুকে পড়েন। এর কয়েক মিনিট পর ওসিসহ লতিফ সিদ্দিকীকে বের হতে দেখেছেন বলে জানান ইফতেখার আহমেদ।

তবে থানায় কর্তব্যরত এক এসআই জানান, লতিফ সিদ্দিকী থানায় আসবেন এটা বলা না হলেও সকাল থেকে থানা ভবনে কর্তব্যরত সব পুলিশ সদস্যকে সতর্ক থাকতে বলা হয়। এছাড়া লতিফ সিদ্দিকী আসার আগে ওসির কক্ষে পুলিশের রমনা বিভাগের একজন উপ-কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন। ওই এসআই জানান, লতিফ সিদ্দিকী ওসির কক্ষে তো দূরের কথা, থানার ভেতরেই যাননি। তিনি আগে থেকেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থানা ভবনের সামনের গেটে আসতেই গাড়ি বদল করে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ব্যাপারে পরিদর্শক হেলালউদ্দিন বলেন, লতিফ সিদ্দিকী আসছেনÑ আগে থেকে এ ধরনের খবর পেয়েছি কয়েকটি গণমাধ্যমের কাছ থেকে। 

কারাগারে মাথানত করে ঢুকতে অস্বীকৃতি

গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মূল ফটকের সামনে পৌঁছে লতিফ সিদ্দিকীকে বহনকারী প্রিজনভ্যানটি। তখন পুলিশ সদস্যরা লতিফ সিদ্দিকীকে কারা ফটক নিয়ে ভেতরে ঢুকতে বলেন। কিন্তু মূল ফটকের একপাশে থাকা পকেট গেট দিয়ে মাথা নিচু করে ঢুকতে রাজি হননি সাবেক এই মন্ত্রী। গেটের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলতে থাকেন, আমি এখনো একজন সংসদ সদস্য। গত ৩০ বছরে আমি কোনো পকেট গেট দিয়ে আসা-যাওয়া করিনি। তাই কারাগারের পকেট গেট দিয়ে ভেতরে যাব না। মূল গেট খোলা হোক। এরপর ভেতরে যাব।

এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা তাকে পকেট গেট দিয়ে প্রবেশের আবারও অনুরোধ করলে স্বভাবসুলভ েেপ যান লতিফ সিদ্দিকী। এ নিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তার মৃদু ধস্তাধস্তিও হয়। কারা কর্মকর্তারা তখন জানান, ইস্পাতের তৈরি মূল ফটকের গায়ে লাগোয়া ছোট আকারের পকেট গেট দিয়েই তারা আসামি ও কয়েদিদের আনা-নেওয়া করেন। কিন্তু লতিফ সিদ্দিকী এতে সাড়া না দিয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা লতিফ সিদ্দিকীর নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ প্রশ্নও ছুড়ে দেন তার উদ্দেশে। সাদা জুতা, কালো প্যান্ট ও সাদা চেক শার্ট পরা প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ এ সময় মাথা নেড়ে জানান, তিনি কিছুই বলবেন না। সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে লতিফকে দূরে রাখতে এ সময় তাকে ঘিরে চক্র তৈরি করেন উপস্থিত পুলিশকর্তারা। লালবাগ পুলিশের সহকারী কমিশনার ফয়েজ আহমেদ, কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসান, চকবাজারের ওসি আজিজুল হকসহ উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা এ সময় লতিফকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, এত ভিড়ের মধ্যে মূল ফটক খুলতে গেলে সামলানো কঠিন হবে। বরং তিনি দয়া করে পকেট গেট দিয়ে ভেতরে গেলে ঝামেলা এড়ানো সম্ভব। কিন্তু সংসদ সদস্য লতিফ তার সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন। এক পর্যায়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার ফরমান আলী বাইরে আসেন এবং ৩টা ৪২ মিনিটে প্রধান ফটক খুলে দেওয়া হয়। ফরমান আলীর সঙ্গেই ভেতরে প্রবেশ করেন দুই মাস ধরে আলোচনায় থাকা লতিফ সিদ্দিকী।

পরে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে ফরমান আলী বলেন, কোন ফটক দিয়ে কে কারাগারে ঢুকতে বা বের হতে পারবে, সে বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করেন। কারাধ্য বা জেলার চাইলে মূল ফটক খুলে ঢুকতে বা বের হতে পারেন। লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানোর কারণ জানতে চাইলে জেল সুপার বলেন, আমি ঢুকেছি, তিনি আমার সঙ্গেই ঢুকেছেন। নিয়মের ব্যত্যয় হয়নি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসার আলম জানান, সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী হওয়ায় কারাবিধি অনুযায়ী তাকে ডিভিশন মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন ডিভিশন সেলে আছেন। জানা গেছে, লতিফ সিদ্দিকী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চম্পাকলি (২৬ নম্বর) সেলে আছেন। সেখানেই তাকে গতকাল রাতের খাবার দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী।

হেফাজতের হরতাল স্থগিত

এদিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী গ্রেপ্তার হওয়ায় আগামীকাল বৃহস্পতিবারের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল স্থগিত করেছে হেফাজতে ইসলাম। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, আমাদের মূল দাবি ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের বিধান করা। এখন যেহেতু সংসদ চলছে সরকার ইচ্ছা করলে এটা সম্ভবও। আর তা না হলে হেফাজতের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!