২০ দলীয় জোট নেতা বিএনপির চেয়ারপারসন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কুমিল্লা টাউনহলের জনসভা থেকে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন-এমনটিই আশা করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
তারা মনে করছেন, সরকারের বছরপূর্তি সামনে রেখে বড় ধরনের কর্মসূচি ঘোষণার এখনই মোক্ষম সময়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা মণ্ডলী, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের পর কুমিল্লা আসছেন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার কুমিল্লা জেলা শহরের বিভিন্ন লোকসমাগমে এ নিয়ে কথা বলতেও শোনা গেছে। অনেকেই মনে করছেন ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ পাঁচ জানুয়ারি সরকারের বর্ষপূর্তি দিনটি সামনে রেখে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন খালেদা জিয়া।সুতরাং স্থানীয় টাউন হল মাঠ থেকেই সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন ঘোষণা করতে পারেন তিনি-এমনটিই আশা করছেন কুমিল্লার সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
শহরের চায়ের দোকান, ফুটপথের খাবারের দোকান, ছোট পান-বিড়ির দোকানে সাধারণ মানুষের মধ্যেও খালেদা জিয়ার আন্দোলনের ঘোষণা নিয়ে কানাঘুষা শোনা গেছে।
শহরের টাউনহল থেকে কান্দিরপাড় আসার পথে কথা হয় রিকশা চালক সবুজ মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, সবাই মনে করতেছে ম্যাডাম কুমিল্লা থেকেই আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।
দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের এমন ধারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে কুমিল্লা (দক্ষিণ) জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন বলেন, ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি কুমিল্লার সাধারণ মানুষও আশাবাদী খালেদা জিয়া কুমিল্লার জনসভা থেকে সরকার পতনে আন্দোলন ঘোষণা করবেন। আমরাও আন্দোলনের ঘোষণার অপেক্ষায় আছি। নেত্রীর ঘোষণা পেলে তা বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
কুমিল্লা শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ চৌধুরী ফারুক বলেন, আমরা আশাবাদী কুমিল্লার টাউনহলের জনসভায় খালেদা জিয়া সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন। নেত্রীর যে কোনো ধরনের ঘোষণা সফল করতে হাজী ইয়াছিন ও মেয়র সাক্কুর নেতৃত্বে কুমিল্লা জেলা ও মহানগর বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে।
কুমিল্লা (উত্তর) জেলা ছাত্রদলের সভাপতি চৌধুরী রকিবুল হক শিপন বলেন, সাবেক তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার কুমিল্লার এই জনসভার দিকে তাকিয়ে আছে সারাদেশ। সেই সঙ্গে আমরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি দেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নেত্রী সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা টাউনহলের জনসভা থেকেই দেবেন। আর নেত্রীর ঘোষণা পাওয়া মাত্র আমরা রাজপথে থেকেই সেটি বাস্তবায়ন করব। অবরুদ্ধ করে দেবো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে না আনা পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।
কুমিল্লা (দক্ষিণ) জেলা ছাত্রদলের সাংগাঠনিক সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সব দলের অংশগ্রহণে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে নেত্রী কুমিল্লার এই জনসভা থেকেই চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করছি। আন্দোলনের ঘোষণা দিলে কুমিল্লা (দক্ষিণ) জেলা ছাত্রদল তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেবে।
কুমিল্লা মহানগর শিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, আমরা আশাকরি জোট নেত্রী সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন কুমিল্লা জনসভা থেকেই। শিবির নেতাকর্মীরা সব সময় রাজপথে থাকে। ভবিষ্যতেও থাকবে। সরকার পতনের আন্দোলন মাঠে থেকেই সফল করবে।