প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একে অপরের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। আগে তারা দলীয় পর্যায়ে সমালোচনা বেশি করলেও গত তিনদিনে তা ব্যক্তি পর্যায়ে বেশি পৌঁছেছে।
শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, এতিমের টাকা মেরে যদি না-ই খাবেন, তবে আদালত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? সাহস থাকলে মামলা মোকাবিলা করে প্রমাণ করুন।
আর বেগম খালেদা জিয়াও শেখ হাসিনার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, আট হাজার মামলা ছিল আওয়ামী লীগের দলের নেতাদের নামে আর শেখ হাসিনার নামে ছিল ১৫টি মামলা। ওই সব মামলা তুলে নিয়েছেন। কেন তুলে নিলেন। মোকাবিলা করলেন না কেন? তিনি হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মিগ-২৯ কিনে দুর্নীতি করেছেন। ফ্রিগ্রেট কিনেছেন। সেখানে নাকি কিছুই ঠিক ছিল না। এইচ টি এম নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসাবে যে কথা বলেছেন তাতে নির্বাচনের সব গোপন তথ্য পাঁস হয়ে গেছে। ওই কথা পর এইচটি ইমামের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে এখন যে সরকার ক্ষমতায় রয়েছেন ওই সরকারেরও ক্ষমতায় থাকা উচিত না।
এইচটি ইমাম আওয়ামী লীগের ইমাম। তার মতো ইমামের পেছনে নামাজ হবে না। তার পেছন থেকেও আওয়ামী লীগকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়া সংসদে না থাকায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। তিনি বিএনপির দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনে ইতিবাচক একটি দিক দেখছেন। হবিগঞ্জে বলেছেন, তিনি না থাকায় এক অর্থে ভালোই হয়েছে। পার্লামেন্টে এখন খিস্তি-খেউর শোনা যায় না। সংসদ ভদ্রভাবে চলছে। সংসদের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। সংসদ ভালোভাবে চলছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মানুষ শান্তিতে থাকে আর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকলে মানুষ অশান্তিতে থাকে। আরো বলেন, বিএনপির নেত্রী বক্তৃতা দিয়ে বেড়ায়, তার সময়ে নাকি দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে ছিল। তিনি জোয়ার দেখাতে পারেন আর না পারেন, ভাটার টান দেখিয়েছেন।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে লাখো শহীদের সঙ্গে বেঈমানি করেছেন। সেই যুদ্ধাপরাধীদের আজ বিচার হচ্ছে, রায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দেওয়ার অপরাধে একদিন খালেদা জিয়ারও জনতার আদালতের বিচার হবে।প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, যারা ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে মানুষের রক্ত নিয়ে হোলি খেলেছেন, এতিমের টাকা পর্যন্ত মেরে খেয়েছেন তাদের গলায় এখন বড় আওয়াজ শুনি! আর তার বিরুদ্ধে মামলা হলেই আমাদের দোষ। উনি যদি এতিমের টাকা মেরে না-ই খাবেন, তবে আদালত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? সাহস থাকলে মামলা মোকাবিলা করে প্রমাণ করুন, আপনি এতিমের টাকা মেরে খাননি।
তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে শান্তি থাকে, মানুষ শান্তিতে থাকে। আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে সন্ত্রাস, দুর্নীতি করে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় মানুষ বলতো, বিএনপি’র দুইগুন-সন্ত্রাস আর মানুষ খুন। আর আওয়ামী লীগ মানে উন্নয়ন।
এদিকে বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগকে বর্জন করুন। সময় এসেছে তাদেরকে বর্জন করার। এই জন্য তিনি জনগণকে তার পাশে আন্দোলনে থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন।ক্ষমতা থেকে সড়ে গেলে জনগন আওয়ামী নেতাকর্মীদের পিষে ফেলবে বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।