DMCA.com Protection Status
title="৭

আওয়ামী লীগের মার্কিন বিরোধিতাঃ বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরনের ইঙ্গিত???

 

images (75)গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রায় একই সময়ে  দেশের তিনটি জেলা শহরে বক্তব্য রেখেছেন।

তাদের তিনজনের বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নয়া মেরুকরণের আভাস ফুটে উঠেছে। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিশ্বের ক্ষমতাসীন দেশগুলোর হস্তক্ষেপ বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার সহ্য করছে না- সে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে উঠেছে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল ও দেশের সুশীল সমাজ সকল দলের অংশগ্রহণে দেশে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচনের যে দাবি তুলেছিল তা ক্ষমতাসীনরা যে মানবেন না সেটিও পরিস্কার হয়ে গেছে।

অপরদিকে গণআন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে পতন ঘটিয়ে দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচন আদায় করা হবে- প্রধান বিরোধীদলীয় প্রধান খালেদার জিয়ার বক্তব্যে সেই সুর শোনা গেছে।

হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজের সামনে নিউ ফিল্ড মাঠে শুক্রবার আয়োজিত আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের লালন-পালন ও আশ্রয় দেওয়া, তাদের গাড়িতে জাতীয় পতালা তুলে দেওয়ার দায়ে খালেদা জিয়ার বিচার হবে জনতার আদালতে। যুদ্ধাপরাধীদের গদিতে পতাকা তুলে দিয়ে অপরাধ করেছেন খালেদা। মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে বেঈমানী করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, সময়মত, সংবিধান অনুসারেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে।


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছেন সে বিষয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। এই প্রথমবারের মতো দেশের কোন রাজনীতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে প্রকাশ্যে কড়া সমালোচনা করলেন।

সৈয়দ আশরাফ সফররত মার্কিন সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালকে দুই আনার মন্ত্রী, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেন ডাব্লিউ মজিনাকে কাজের বুয়া বলে আখ্যায়িত করতে ছাড়েননি। আশরাফ অভিযোগ করেছেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বাতিল করতে এমন কোনও চেষ্টা নেই যা মজিনা করেননি। শেখ হাসিনা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারেন সে জন্য চেষ্টা তিনি প্রানপণ চেষ্টা করেছেন।

খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে আশরাফ বলেন, একজন ২২/২৩ বছরের মেয়ের সামনে খালেদা জিয়া মনে হলো হাত পেতে বসে আছেন, কখন তিনি তাকে ক্ষমতায় বসাবেন। ভারতের বর্তমান বিজেপি সরকারের ওপর আস্থা না রাখারও উপদেশ দেন আশরাফ খালেদা জিয়াকে।সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া একইদিন কুমিল্লা টাউন হল মাঠে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত সমাবেশে বলেছেন গুলি করে গদি রক্ষা করা যাবে না। সরকার বিরোধী আন্দোলনে দেশবাসীকে রাজপথে নামার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনে আমি সামনের কাতারে থাকব। দেখব সরকার কত গুলি করতে পারে। খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান সরকার খুনিদের সরকার। এই সংসদ অবৈধ। শহীদ ডা. মিলন, সেলিম-দেলোয়ারসহ অসংখ্য হত্যার সঙ্গে জড়িদদের সঙ্গে জোট বেধে জোর করে দেশ চালাচ্ছে তারা। এই অবৈধ সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

তিন নেতার বক্তব্যের মধ্যেই মার্কিন সহকারি মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বললেন, নির্বাচন কখন হবে তা এদেশের জনগনই ঠিক করবে। তবে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের ওপর জোর দিয়েছেন।

এদিকে হঠাৎ করে গরম হয়ে উঠেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতির সভাপতি সন্তু লারমা। তিনি সরকারকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, শান্তিচুত্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করা না হলে আগামী ১লা মে থেকে লাগাতার অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!