সারা দেশে সংগঠিত দুর্নীতির বিস্তারিত খতিয়ান তুলে ধরে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন, ‘সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দলের ৬২টি অংঙ্গসংগঠনের মত দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদুক) একটি অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন আয়োজিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নূরে আলম বলেন, ‘দুদক আওয়ামী লীগের নেতাদের সব দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছে। এক্ষেত্রে বিএনপির দুয়েকটি মামলা প্রত্যাহার করলে দুদককে কিছুটা হলেও নিরপেক্ষ বলা যেত।’
তিনি বলেন, ‘শতকরা ৮০ জন সাংসদ সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি জানেন না। তারা শুধু জানে শেখ হাসিনার গুনগান।’
নূরে আলম বলেন, ‘দেশে আজ চলছে অসহনশীল প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীতি। দুর্নীতির আবর্জনায় আবর্তিত দেশের প্রধান দুই রাজনীতিক দল। তাই ছাত্র রাজনীতিও এ আবর্জনা মুক্ত হতে পারছে না।’
এমন বাংলাদেশ দেখতে মুক্তিযুদ্ধের জন্য আমি মায়ের কাছ থেকে সন্তান চেয়ে আনিনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় দুই নেত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সবাই ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। শুধু বিএনপির খালেদা জিয়া আর আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা সব ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে। কিন্তু একদিন তাদের দুজনকেই সামাজিক বিপর্যয়ের মধ্যে পরতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে এখন গণতন্ত্রের মানসকন্যা বলা হয়। সেই গণতন্ত্রের মানসকন্যা আজ ক্ষমতায় কিন্তু গণতন্ত্র কই?’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তাদের গোত্রের বাইরে কাউকে স্বীকৃতি দেয় না। কার কতখানি অবদান তাও মূল্যায়িত করে না। বাঙ্গালি জাতি একদিন সঠিক ইতিহাস রচনা করবে আর সেই দায়িত্ব নিতে হবে প্রাক্তক ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনকে।’
নূরে আলম ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- প্রাক্তন ছাত্রনেতা আবুল কাশেম, আবুল হাসান চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, পীর হাবিবুর রহমান প্রমুখ।