৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে নানা নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদ। নির্বাচনের পর দলীয় নেতাদের মন্ত্রিত্ব নেয়ার বিরোধী থাকলেও নিজে ঠিকই মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব নেন। মধ্যপ্রাচ্যে দেশের অবস্থান সুদৃঢ় করার দায়িত্ব বর্তায় তার ওপর।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার দশ মাস পার হলেও, দৃশ্যমান কোনো কাজই করেননি এরশাদ।
তবে, এ কথা মানতে নারাজ দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দীন বাবলু। তার মতে, সব কাজ দৃশ্যমান হতে হবে তেমন কোনো কথা নেই। কূটনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে সময় প্রয়োজন।জাতীয় সংসদ ভবনে একটি অফিসও পেয়েছেন এরশাদ। পেয়েছেন মন্ত্রীর বেতন-ভাতা-গাড়ি আর নিরাপত্তা সুবিধা। কিন্তু দশ মাসেও চোখে পড়ার মতো কোনো কাজ করেননি তিনি। দলের সভা-সমাবেশে উপস্থিতি থাকলেও, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে যেন হিসেবের খাতাই খোলেননি।
জিয়াউদ্দীন বাবলুর মতে, আইসিসসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত মধ্যপ্রাচ্য। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই কাজ শুরু করবেন এরশাদ। এছাড়া কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে সময় প্রয়োজন।
তবে, চেয়ারম্যানের এই বিশেষ দায়িত্বের বিষয়ে দলের অন্য নেতাদের কাছে তেমন কোনো তথ্য নেই। এমনকি এ সম্পর্কে জানেন না বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলামও।