বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৬ নেতাকর্মীর গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পল্টন থানার একটি মামলায় চার্জ শুনানি পিছিয়ে ফের আগামি ২৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
সোমবার মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য দিন থাকলেও মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা চার্জ শুনানি পিছিয়ে দেয়ার জন্য সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ঢাকার সিএমএম আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মইনুল ইসলাম ভূঁইয়া সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩রা সেপ্টম্বারও এই মামলাটির চার্জ শুনানি না করার জন্য আসামিদের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হলে বিচারক তা মঞ্জুর করে আজকের দিনটি ধার্য করেন।
২০১৩ সালের ৩ মার্চ পল্টন থানা এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে এ মামলা করা হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানসহ দলটির ২৬ নেতাকর্মীকে এ মামলার আসামি করা হয়।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক তারেক মঈনুল ইসলাম ভূইয়া আসামিদের পক্ষে সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই দিন ধার্য করেন।
সোমবার এ মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস ও বরকত উল্লাহ বুলু আদালতে না আসায় তাদের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন। এছাড়া অন্যান্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। ওইদিন আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করেদেন। ওইদিন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ চারজন আদালতে না আসতে পারায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পারোয়ানা জারি করেন। যদিও পরদিন এ্যানি আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে গাড়ি ভাঙচুর ও জনমনে সৃষ্টির অভিযোগে ৪৪ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করা হয়।
২০১৩ সালের ২৭ মার্চ গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের কাজে বাধা, মারধর করে জনমনে অতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি চলাকালে আসামিরা বিকাল পৌনে পাঁচটায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে এবং লোহার রড, শাবল, লাঠি ইত্যাদি নিয়া রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।