বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দায়ের করা মানহানি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এধরনের প্রমান সাপেক্ষ অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারিটা বাড়াবাড় এং উদ্দেশ্য প্রনদিত।
বুধবার আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক মনির খানের দায়ের করা মামলায় বিচারক আতাউল হক সমন জারির পরও আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আগামী ২৯ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৬ নভেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে আসামিকে ১০ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, গত ৭ নভেম্বর লন্ডনের আট্রিয়াম হলে বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখা আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় তারেক রহমান সাবেক মরহুম রাষ্ট্রপতি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তিপূর্ণ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, হিংসাত্মক ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন।
এছাড়া গত ৭ নভেম্বর বিভিন্ন মিডিয়ায় তারেক রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে, তিনি (শেখ মজিবুর রহমান) পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। এছাড়া তারেক রহমান বঙ্গবন্ধুকে ‘পাকবন্ধু’ বলেছেন মর্মে মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন।
এছাড়া ‘মরহুম সাবেক রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নামে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করা দরকার’- তারেক রহমান এমন কথা বলেছেন মর্মে বাদী তার মামলায় অভিযোগ করেছেন।
তারেক রহমানের এসব বক্তব্যে বাদী ও তার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য মানহানিকর। আসামির এসব বক্তব্যে একশত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার শেষে বাদী বিচারকের কাছে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে জেলহাজতে প্রেরণের প্রার্থনা জানান।