প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা রোধে বিজিবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’এসময় বিজিবি সদস্যরা দেশ ও জনগণকে রক্ষার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ বলে জানান।
তবে অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানে ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে নির্মমভাবে নিহত ৫৭ জন সেনা অফিসারদের স্মরনে সমবেদনা জানালেও বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থতার দায় নিয়ে দূঃখ প্রকাশ করেন নি তিনি।
পিলখানা সদর দপ্তরে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) দিবসের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বিজিবির উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকালীন বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতা আপনারা কঠোরভাবে প্রতিহত করেছেন। নির্বাচন পূর্ব-পরবর্তী সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থদের বসত-বাড়ি, দোকান, উপাসনালয় পুনঃনির্মানের দায়িত্ব আপনারা সুন্দরভাবে পালন করেছেন। তাদের নিরাপত্বা নিশ্চিত করেছেন। এজন্য আমি আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শনিবার সকালে পিলখানা সদরদপ্তরে তিনি এই দিবসের উদ্বোধন করেন। এসময় বিজিবি সদস্যরা দেশ ও জনগণকে রক্ষার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান।
এসময় দেশ ও জাতির কল্যাণে বিজিবির সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে এক বাণীতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে পবিত্র আমানত মনে করে দেশ ও জাতির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য কাজ করতে বিজিবি সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিজিবি দিবস-২০১৪ উদযাপন উপলক্ষে বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজিবি সদস্যরা দেশের সীমান্তরক্ষা এবং বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তাসহ দেশগঠনমূলক কাজে প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০’ প্রণয়ন করেছে।’
বিজিবির নতুন সাংগঠনিক কাঠামো ও জনবল অনুমোদন এবং পদবি কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাহিনীর কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য চারটি রিজিয়নের আওতায় কমান্ড স্তর বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। নতুন চারটি সেক্টর ও ১৫টি ব্যাটালিয়ন স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাহিনীর নিজস্ব র্যাঙ্ক-ব্যাজ প্রবর্তন করে বিজিবি’র স্বকীয়তা, সৌকর্য ও আস্থাকে সমুন্নত করা হয়েছে।’
সীমান্তে বিজিবির অপারেশনাল কার্যক্রম আরও জোরদার করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এ বাহিনীর সর্বনিম্ন পদ থেকে সুবেদার মেজর পর্যন্ত সদস্যদের ৩০ শতাংশ সীমান্ত ভাতা, রেশন বৃদ্ধি, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি এবং আবাসন সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পদোন্নতিযোগ্য সদস্যদের পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’