ক্লান্তিতে শান্তি মিলতে ঠাণ্ডা এক গ্লাস কোক, এ যেন সোনায় সোহাগার মতো ব্যপার। বাস্তবে শরীরের কতটুকু উপকার হচ্ছে সেটা বিবেচনার বাইরে থেকে গেলেও কোকের ভক্তদের মনে শান্তি আসে শতভাগ। নির্মম সত্য হলো, কোকে থাকা রাসায়নিক উপাদান এবং চিনি আপনার সুস্বাস্থ্যকে ধ্বংস করে দিতে পারে। মৃত্যুঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয় প্রায় শতভাগ। আসুন জেনে নেয়া যাক, নিয়মিত কোক পান আপনার দেহের জন্য কি ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
দাঁতের ক্ষতি
চিনি ও অ্যাসিডযুক্ত ঠাণ্ডা পানীয় আমাদের মুখ গহ্বরে প্রচুর পরিমানে জীবানুর জন্ম দেয়। কোক তার মধ্যে অন্যতম। ঠাণ্ডা একটি কোকে থাকা উভয় উপাদানই আপনার দাঁতের এনামেল নষ্ট করে দেয়। অবশ্য, কোমল পানীয় পান করার পরেই দাঁত ব্রাশ করে ফেললে ক্ষতির পরিমান কমে আসে। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই সে সুযোগ আপনার থাকে না। স্মার্ট লোক হিসেবে সুন্দর দাঁতের যত্নে কোক এড়িয়ে চলাই ভালো।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
অধিকাংশ খাদ্যে চিনি থাকে, কিন্তু কোকে এর পরিমানটা উল্লেখযোগ্য হারে বেশি। কোক খাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই আপনার রক্তে চিনির পরিমান বেড়ে যায় পাঁচগুণ পর্যন্ত। অব্যাহত এই প্রবাহ শরীরে ডায়াবেটিসের সর্বোচ্চ ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই কোক জাতীয় সকল পানীয় বাদ দেয়া উচিৎ।
হজম শক্তি দূর্বল করে
আপনার পছন্দের তারকা অনুশীলন শেষে দূর্বলতা কাটাতে কোনো একটা ব্র্যাণ্ডের কোমল পানীয় হাতে তুলে নেয়। এটা দেখে আপনিও বেশ উদ্দীপ্ত হয়ে ক্লান্তি মেটাতে একই কাজ করলেন। কিন্তু জানেন কি, কোকে থাকা চিনিযুক্ত সোডা আপনার হজম শক্তিকে ধীরে ধীরে দূর্বল করে দিচ্ছে। শরীরে পর্যাপ্ত বিপাকীয় জ্বালানী তৈরিদে বাধা সৃষ্টি করছে। তাই ক্লান্তি কাটাতে বেছে নেয়া উচিৎ বিশুদ্ধ পানি।
অভ্যন্তরিন অঙ্গহানি
অসুস্থ হওয়ার জন্য নানা কারণ দায়ি থাকে। অমেরিকার ভোজ্য পণ্যের মান নিয়িন্ত্রক সংস্থা আবিষ্কার করেছেন, কোমল পানীয়তে ব্যবহৃত রঙ শরীরের অভ্যন্তরিন অঙ্গহানি করে। দেহে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। নিয়মিত কোক খেলে অসুস্থ হওয়ার কারণকে সরাসরি উদ্বুদ্ধও করে থাকে।
উর্বরতা ধ্বংস করে
নিয়মিত কোক খাওয়া অবশ্যই আপনার উর্বরতার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবেই। এমনকি আপনাকে সম্পূর্ণরূপে অনুর্বর করে দিতে পারে। প্রত্যেক ঠাণ্ডা পানীয় দেহের অভ্যন্তরের অঙ্গকে এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা উর্বরতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাই যারা কোকের অত্যান্ত ভক্ত তারা সুস্থ থাকতে আজই সচেতন হোন।