আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকারের বদান্যতায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখনো বাইরে আছেন। নিজে অসংযত আচরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে সংযত হওয়ার কথা বলার ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করছেন। খালেদা জিয়ার মামলায় শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যই বিচারক পরিবর্তন করা হয়েছে বলে আইনমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
গতকাল সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় আনিসুল হক এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। বিচার বিভাগকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করে না। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন।
বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কোনো আচরণ করছে না। তিনি সরকারের বদান্যতায় এখনো বাইরে আছেন। সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছেন। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কিছু করলে খালেদা জিয়ার অবস্থা ভিন্নতর হতে পারত। বেগম খালেদা জিয়ার দুই মামলার বিচারক পরিবর্তন করা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ওই আদালতের বিচারক যিনি ছিলেন এজলাসের মধ্যেই প্রকাশ্যে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাকে গালাগাল করেছেন। ‘মালাউন’ বলে গালি দিয়ে একজন সংখ্যালঘু মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন।
তার আদালতে বিচার পাবেন না বলে অভিযোগ করেছেন এবং পরবর্তীতে বিচারপতি বাসুদেব রায়ের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেন। মন্ত্রী বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনকারীরাই সবসময় অসংযত আচরণ করছেন। উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুটি মামলায় গত ২০ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে এই অভিযোগ গঠন ও অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বেগম খালেদা জিয়া।