DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

প্রধানমন্ত্রী পূত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দলীয় সাংসদ দীপু হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ

unnamedপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ঢাকা-৬ আসনের আওয়ামী লীগের তৎকালীন সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান খান দিপুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে দিপুর ঘনিষ্ট একটি সুত্র দাবী করেছে।। জয় ঐ রাতে রাজধানীর একটি বারে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক এবং ঘনিষ্ট বন্ধু আরাফাতের সাথে মদ্যপান অবস্থায় এ হত্যাকান্ড চালায় বলে খবর পাওয়া গেছে।



রাজধানীর একটি বিশেষ বারে ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর রাতে এ ঘটনাটি ঘটে বলে সূত্র জানায়।



আরাফাতের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, জয়ের স্মরণে অনুষ্ঠিত গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে এক যুবক মদ্যপ অবস্থায় একটি মেয়ের সাথে অশালীন আচরন করে।ঘটনাক্রমে এই মেয়েটি ছিল সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ট বান্ধবী। যদিও যুবকটি সেটা জানতো না। এ ঘটনায় জয় অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয় এবং পাশের এক বন্ধুর পিস্তল নিয়ে ছেলেটিকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ ছেলেটি মিজানুর রহমান খান দিপুর পরিচিত হওয়ায় দিপু তাৎক্ষনিক ভাবে  এর প্রতিবাদ করে। আর এ কারণেই দিপুকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। 



দিপু আওয়ামী লীগ এমপি হওয়ায় এবং জয় প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হওয়ায় প্রশাসন বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যু হিসেবে প্রচার করা হয়। দিপুর পরিবারও প্রাণনাশের ভয়ে চুপ করে থাকে। তবে দিপুর ঘনিষ্ঠজনরা নাম না প্রকাশের শর্তে এ ঘটনাটি এই প্রতিবেদককে জানান। জয়ের বন্ধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও টিভি আলোচক আরাফাতও সরাসরি এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বলেও জানান তারা।



২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর গণমাধ্যমে প্রচার করা হয় যে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে দিপুর মৃত্যু হয়। 

ঐসময় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত প্রতিকূল থাকায় খুব তরিঘরি করে জনাব দীপুর লাশ দাফন কাফন করা হয়।



কিন্তু দিপুর আত্মীয়রা জানান, প্রধানমন্ত্রী পুত্রের আমন্ত্রণে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয় দিপু। পরে আমরা জানতে পারি দিপু এ্যাপোলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি দিপুর গলায় দাগ। রাত ৩ টার দিকে ডাক্তাররা জানায় দিপু মারা গেছে। যদিও ডাক্তাররা বলেছে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা গেছে কিন্তু সেটা আমাদের বিশ্বাস হয়নি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলেও দিপুর গলায় দাগ দেখা গেছে। শ্বাসরোধ করে হত্যার সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে। কিন্তু শ্বাসরোধ করেই মূলত হত্যা করা হয়েছে।



দিপুর ঘনিষ্ট এক আত্মীয় আরও জানান, জয়ের মতো ক্ষমতাধরদের বিচারতো এই দুনিয়ায় হবেও না, চেয়েও লাভ নেই। এ বিচার করবেন উপরওয়ালা।তবে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে বিতারিত হলে এই হত্যাকান্ডের বিচার অবশ্যই চাওয়া হবে বলে তারা জানান।



৪৯ বছর বয়সী দিপু  ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপির সাদেক হোসেন খোকাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজকও পরিচালক ছিলেন। শেখ রাসেল ক্লাবের পরিচালক বোর্ডে ছিলেন।দিপুর বাড়ি পুরান ঢাকায়। তিনি স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে উত্তরায় থাকতেন।

 

দীপুর মত্যু সংবাদ যেভাবে তৎকালীন মিডিয়ায় এসেছিলোঃ

ঢাকার সাংসদ দিপুর মৃত্যু

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!