আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘আগামী ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াদের রাস্তায় নামতে দেয়া হবে না। সারাদেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ রাস্তায় থাকবে। যারা বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করে তাদের রাস্তায় নামার সুযোগ নেই।’
বৃহস্পতিবার মাগুরা অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, চার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আছাদুজ্জামানের ২১তম মুত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নোমানী ময়দানে আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘৫ জানুয়ারি শেখ হাসিনা গণতন্ত্র রক্ষা করেছেন। এদিন নির্বাচন না হলে দেশে অরাজকতা এবং অগণতান্ত্রিক সরকার জেকে বসতো। এদেশে নির্বাচন ছাড়া কোনো ক্ষমতা বদল হবে না।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা জীবন বাজী রেখে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তিনি কোরআন পড়েন, নামাজ পড়েন, তার মাথার কাপড় পড়ে না। অথচ খালেদা জিয়াকে দেখেন; পাহাড় আকৃতির চুলের স্টাইল করেন আবার ইসলামের পক্ষে কথা বলেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা এদেশের জঙ্গী দমন করেছেন। গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ ছড়িয়ে দিয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ অব্যাত রয়েছে। দেশে কোনো সঙ্কট নেই। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে সারের জন্যে কৃষককে গুলি খেতে হয়না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা গত নির্বাচনের আগেই খালেদা জিয়াকে গণভবনে চায়ের আমন্ত্রণ দিয়েছিলেন। সেখানে নির্বাচন নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া আসেননি। বাসে আগুন দিয়ে পুলিশ মেরে স্কুল পুড়িয়ে নির্বাচন প্রতিরোধের ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন। এখন তিনি সেসব ক্ষতি ফেরত দিতে পারবেন না। তাই এখন আর বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা নেই। যারা জাতির পিতাকে নিয়ে অপমান জনক কথা বলেন তাদের সঙ্গে কেয়ামত পর্যন্ত কোনো সংলাপ হবে না।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘হাসিনা জীবন বাজী রেখে দেশের জন্যে গণতন্ত্রেরে জন্য নির্বাচন করেছেন। আগামী ২০১৯ সালের এক দিন আগেও কোনো নির্বাচন হবে না।’
বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন করার মতো কোনো ক্ষমতা নেই। আওয়ামী লীগ আন্দোলন করতে জানে। আমরা খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছি। রাস্তায় মার খেয়েছি তবু রাস্তা ছাড়িনি। আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি। আর এখন আন্দোলনের সময় রাস্তায় বিএনপি নেতাদের দেখা যায় না।’
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজেল হোসেন খানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেট সোসাইটির চেয়ারম্যন মো. সিরাজুল আকবর এমপি, বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, মনিরুল ইসলাম এমপি, হাজী রহমতউল্লাহ এমপি, শরিফ আহম্মেদ এমপি, আনোয়রুল আবেদিন এমপি, ফাহামী গোলন্দাজ বাবেল এমপি, কামরুল লায়লা জলি, মাগুরা জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, প্রয়াত আছাদুজ্জামানের ছেলে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী রেজাউল হক প্রমুখ।
এর আগে, দুপুরে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।