DMCA.com Protection Status
title="৭

পাইপে শিশু পড়ে যাওয়ার ঘটনা সম্পূর্ণ গুজব?

1219-e1419618432103শাহজাহানপুরে রেল কলোনিতে পাইপের মধ্যে শিশু পড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়েছেন উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া এনএসআই’র যুগ্ম-মহাপরিচালক আবু সাঈদ রায়হান।

তিনি বলেন, ‘ক্যামেরা নামানোর পর একেবারে শেষ প্রান্তে তেলাপোকা, টিকিটিকিও দেখা গেছে কিন্তু শিশুর কোনো শরীর দেখা যায়নি বা শরীরের মতো কিছু দেখা যায়নি। এটা সম্পূর্ণ গুজব।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা নিচে নামানো হয়েছিল, সেখানে মানুষের কোনো অস্তিত্ব দেখা যায়নি। কিছু কীটপতঙ্গের ছবি দেখা গেছে। ক্যামরায় দেখে মনে হচ্ছে সেখানে কেউ নেই। তারপরও পাইপের নিচে যে আবর্জনা আছে সেগুলো তুলে আমরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখবো।’

তিনি বলেন, ‘জীবন-মরণের কথা শুনে আমরা এখানে ছুটে এসেছি। যারা দক্ষ তাদেরকে আমরা হেলপ করতে বলেছি। অনেকেই আমাদের সাহায্যও করেছেন। ফায়ার সার্ভিসও প্রায় আট ঘণ্টা চেষ্টা চালাচ্ছে।’

উল্লেখ্য, রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনিতে দুপুরে প্রায় ৬শ ফুট গভীরে ১৭ ইঞ্চি ব্যাসের পানির পাইপে শিশুটি পড়ে যায়। শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রাত ১০টায় পাইপের মধ্যে শিশুটির অবস্থান জানতে একটি বিশেষ ক্যামেরা নামিয়ে এলসিডি মনিটর বসানো হয়। তবে ৪শ ফুট পর্যন্ত নিচেও কোনো ছবি পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, শিশুটি খেলতে খেলতে হঠাৎ করে উন্মুক্ত পাইপটির ভেতরে পড়ে যায়। পাইপটি গভীরতা আনুমানিক ৬শ ফুট বলে জানিয়েছে সেখানে কর্মরত ফায়ার সার্ভিস।

বাচ্চাটিকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তার শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। রশি নামিয়ে উপর থেকে চিৎকার করে ধরতে বলা হলেও শিশুটির বয়স অনেক কম হওয়ায় তাতে কাজ হচ্ছে না। এ কারণে তার হাতে বা পায়ে দড়ির ফাঁস লাগিয়ে টেনে তোলার চেষ্টাও করা হয়। শিশুটি বেঁচে আছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত ফায়ার সার্ভিস, কারণ উপর থেকে পাঠানো জুস খেয়েছে সে। আর পাইপের গোড়ায় কোনো পানি নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, পানির পাম্পটি অনেকদিন পরিত্যক্ত ছিল।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!