টঙ্গীতে পুলিশের সহযোগিতায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন। মিছিলের আগে ও পেছনে ছিল পুলিশের গাড়ি এবং মাঝে মিছিলকারীদের অনেকের সঙ্গে ছিল দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র।
গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতির নেতৃত্বে সকাল ১১টায় মিছিলটি টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি বেলা সাড়ে ১১টায় টঙ্গী কলেজ গেট এলাকা প্রদক্ষিণ করার পরক্ষণেই ওই এলাকায় পৌর কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীরা।
এসময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এদিকে সকাল থেকেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা টঙ্গী স্টেশন রোড ও চেরাগ আলী মার্কেটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সশস্ত্র অবস্থান নেয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ব্র্যাক প্রিন্টার্সের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র, রাম দা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
কয়েকটি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রেখে শ্রমিকদেরকে আওয়ামী লীগের মিছিলে শরিক হতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে টঙ্গী থানা বিএনপি। এদিকে হরতালের সমর্থনে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সরকার শাহনূর ইসলাম রনির নেতৃত্বে দুপুরে সুরতরঙ্গ রোড এলাকায় একটি মিছিল বের হয়। পরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে টঙ্গী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক অনিক, ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা আব্দুল হালিম, কামাল হোসেন ও দীপু আহত হয় বলে টঙ্গী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোখলেছুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভেন্ডার দাবি করেছেন।