আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলকে আওয়ামী লীগ ছাড়া প্রতিহত করার ক্ষমতা কারো নেই, বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
‘বিএনপিকে কোনো কর্মসূচি পালন না করতে দিলে আগামীতে আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি করতে দেয়া হবে না’ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি একথা বলেন।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাসিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দল, এ দলের যুগ যুগের ইতিহাস রয়েছে। আমরা অতীতে সমস্ত বাধা-বিঘ্নের মধ্যেই কর্মসূচি পালন করেছি। গত নির্বাচনেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে নির্বাচন করেছি আমরা।’
এসময় তিনি আগামী ৫ জানুয়ারি বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১৪ দলের পক্ষে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন নাসিম।
‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল নিয়ে ১৪ দল আতঙ্কিত কিনা এবং কিভাবে মোকাবেলা করা হবে’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আতঙ্কিত না, এগুলো তাদের মহড়া। গাজীপুরে যেভাবে তাদের হরতাল হয়েছে, আগামীকালও সেভাবে হবে। বিএনপির কর্মসূচি রাজনীতিকভাবেই মোকাবেলা করা হবে। ১৪ দল অতীতে মাঠে ময়দানে ছিল, এখনো থাকবো।’
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তারেক রহমানের কটূক্তি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রবাসী পলাতক আসামি জাতির পিতাকে কটাক্ষ করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করছে। আমরা অত্যন্ত ধৈর্য্যের সঙ্গে তাকে মোকাবেলার চেষ্টা করেছি। কারণ তার উদ্দেশ্যেই হল একটা অশুভ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। তাই কোনভাবেই তাকে এবং তাদেরকে আর ছাড় দেয়া হবে না।’
আপনারা ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র বিজয় দিবস পালন করবেন আর একদিকে বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করার ঘোষণা দিয়েছে এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন,‘ গণতন্ত্র হত্যাকারীরাই তো গণতন্ত্র হত্যার কালো দিবস পালন করবে। কারণ তারা (বিএনপি) ৫জানুয়ারি নির্বাচন বানচাল করে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
১৪ দলের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে সারাদেশব্যাপি সাতটি সাংগঠনিক টিম দেশের বিভিন্নস্থানে সভা-সমাবেশ করবে বলেও জানান তিনি।
ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আওয়ামী লীগের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আফজাল হোসেন, ড. হাছান মাহমুদ, মৃণাল কান্তি দাস, এনামুল হক শামীম, এস এম কামাল, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের শরীফ নুরুল আম্বিয়া, জেপির শেখ শহিদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির নূরুর রহমান সেলিম, ডা. শহীদুল্লাহ শিকদার, বাসদের রেজাউর রশীদ খান, গণ আজাদী লীগের এস কে শিকদার, ন্যাপের আব্দুর রশীদ প্রমুখ।