DMCA.com Protection Status
title="৭

শেখ মুজিবর রহমানের মরণোত্তর বিচার ,শাস্তি ও ফাঁসি চাইলেন – জাহিদ এফ সরদার সাদী

sadi3নিউইয়র্ক : বিজয়ের মাসে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী (কমরেড সিরাজ সিকদারের নিকটতম আত্মীয়) এক লিখিত বিবৃতিতে দেশ বিদেশের  সাংবাদিকদের শেখ মুজিবর রহমানের মরণোত্তর বিচার , শাস্তি ও মরণোত্তর ফাঁসি দাবি জানান।

পৃথিবীর ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রথম বিপ্লব হয়েছিল ইংল্যান্ডে তার পর একে একে ছড়িয়ে পরে গোটা পৃথিবীতে সূচনাটা 
ভালই ছিল কিন্তু রাজতন্ত্রের  ক্ষমতা লোপ করে  নিজেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে একজন স্বৈরাচারী  হয়েছিলেন। ঠিক আমাদের দেশেও তাই ঘটেছিল এবং এখনও তাই ঘটে যাচ্ছে,তবে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবেনা। আইনের শাসন একদিন প্রতিষ্ঠা হবেই হবে।

লিখিত বিবৃতিতে সাদী বলেন  "আমি 'জাহিদ এফ সরদার সাদী'  বাংলাদেশ সত্যের শক্তির পক্ষ থেকে , বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ও বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের তথা সর্ব জনসাধারণের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা বিরোধী ,খুনি, একদলীয় ( বাকশাল ) শাসক,  শেখ মুজিবর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই, শাস্তি চাই,মরণোত্তর ফাঁসি চাই"।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় ইংল্যান্ডের ক্রমওয়েল রাজতন্ত্রের ক্ষমতা লোপ করে নিজেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে একজন স্বৈরাচারী হয়েছিলেন।  কিন্তু  ইংল্যান্ডের গণতান্ত্রিক জনতা তাকে ক্ষমা করেনি। দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হয়েছিল তার মৃত্যুর পর। এই বিচার প্রিভি কাউন্সিল পর্যন্ত গড়িয়েছিল এবং তার ফাঁসি হয়েছিল। কবর হতে তার হাড়গোড় তুলে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়েছিল। এটাই হলো আইনের শাসন। 

সাদী'র লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়:


১. সম্পূর্ণ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সঠিক সময়ে শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা না করায়, আমাদের  স্বাধীনতার জন্য ত্রিশ লক্ষ মানুষকে নিহত ( শহিদ ) হতে হয় এবং দুই লক্ষ মা-বোনকে ধর্ষিত হতে হয়। এই ত্রিশ লক্ষ মানুষ হত্যা এবং দুই লক্ষ নারী ধর্ষিত হওয়ার জন্য দায়ী শেখ মুজিবর রহমানের মরণোত্তর ফাঁসি চাই।

 
২. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার অভিযোগে শেখ মুজিবর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই, শাস্তি চাই।  


৩. যে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে এবং দেশ স্বাধীন করে শেখ মুজিবর রহমানকে স্বাধীন দেশে ফিরিয়ে এনেছে, স্বাধীনতার পর ভারত থেকে সেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা না এনে, রাজাকার আলবদরসহ ভুয়া ব্যাক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ( সার্টিফিকেট ) দেওয়ার অভিযোগে শেখ মুজিবর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই, শাস্তি চাই। 


৪. ক্ষমা না চাইতেই স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আল বদরদের ঢালাও ভাবে ক্ষমা ঘোষণার অপরাধে শেখ মুজিবর রহমানের মরণোত্তর শাস্তি চাই। 


৫. মহান বিপ্লবী নেতা কমরেড সিরাজ সিকদারকে বন্দী অবস্থায় বিনা বিচারে গুলি করে হত্যা করার অপরাধে শেখ মুজিবর রহমানের মরণোত্তর ফাঁসি চাই। 


৬. সিরাজ সিকদারকে খুন করে পবিত্র পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিবর রহমান বলেছিলেন আজ কোথায় সেই সিরাজ সিকদার ? বলে  পবিত্র পার্লামেন্ট কে অপবিত্র পার্লামেন্ট  করায় শেখ মুজিবর রহমানের মরণোত্তর শাস্তি চাই। 


৭. জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার, মিছিল করার অধিকার, দল করার অধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণসহ সংবিধানের মৌলিক অধিকার হরণ করে জাতির উপর একদলীয় ( বাকশাল ) শাসন – শোষণ চাপিয়ে দেওয়ার অপরাধে শেখ মুজিবর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই, শাস্তি চাই।


বিশ্লেষণ এবং সামরিক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ৭ই মার্চ শেখ মুজিবর রহমান যদি পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে ঘোষণা করতেন এবং সুদূর ১২ হাজার মাইল দূর থেকে আসা পাকিস্তানি সৈন্যদের বন্দী করতে বলতেন, তাহলে পাকিস্তানি সৈন্যদের সাথে বাঙালি সৈন্য, ইপিআর, পুলিশ ও জনতার যে লড়াই বা যুদ্ধ হতো, সেই যুদ্ধে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই সামান্য রক্তপাতের বিনিময়েই আমাদের দেশ মুক্ত বা স্বাধীন হতো।


১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) পাকিস্তানি সৈন্য সংখ্যা এতই নগন্য ছিল যে, পাকিস্তানি পাঞ্জাবি, সিন্ধি, বেলুচ সৈন্য বাঙালি সৈন্যদের কাছে অসহায় এবং মুখাপেক্ষী ছিল। আবার এই পাকিস্তানি পাঞ্জাবি, সিন্ধি বেলুচ সৈন্যদের অধিকাংশই ছিল অফিসার। যারা যুদ্ধ পরিচালনা করে, কিন্তু সরাসরি যুদ্ধ করে না। এই নগন্য সংখ্যক পাকিস্তানি সৈন্যকে ধরাশায়ী বা পরাস্ত করতে বাঙালি সৈন্য, ইপিআর (আজকের বিডিআর) পুলিশ এবং সাড়ে সাত কোটি জনতার কোনো ভাবেই  সপ্তাহের বেশি সময় লাগত না।


কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ৭ই মার্চ শেখ মুজিবর রহমান স্পষ্টভাবে সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা না করায় এবং অনির্দিষ্ট সময় নিয়ে পাকিস্তানের কাছে ৪টি দাবি বা শর্ত দেয়ার সুযোগে পাকিস্তান দিবা-রাত্রি তাদের সৈন্য এবং অস্ত্র বাংলাদেশে এনেছে। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে পাকিস্তানের যত ননবেঙ্গলি সৈন্য ছিল, ৭ই মার্চ শেখ মুজিবর রহমানের ভাষণের পর (৭ই মার্চ থেকে ২৫শে মার্চ পর্যন্ত) পাকিস্তান বাংলাদেশে তার সৈন্য ও অস্ত্রসস্ত্র গোলাবারুদ বহুগুণ বেশি বৃদ্ধি করে এবং পাকিস্তানি ননবেঙ্গলি সৈন্যের সংখ্যা যখন বাঙালি সৈন্য সংখ্যার চাইতে বহুগুণ বেশি বৃদ্ধি হয় কেবল তখনই পাকিস্তানিরা বাঙালিদের আক্রমণ শুরু করে।

বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে পাকিস্তানিরা আক্রমণ করলে রাস্তাঘাত বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছেন। যার যা আছে তাই নিয়ে মোকাবেলা করার কথা বলেছেন। খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছেন। বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে টাকা-পয়সা পাঠানো বন্ধ করতে বলেছেন।

 
ফলে পাকিস্তান ৭ই মার্চ থেকে তৎকালীন ঢাকা–তেজগাঁও বিমান বন্দর দিনরাত ২৪ ঘন্টা শুধু সৈন্য আনার কাজে ব্যবহার করেছে।


পাকিস্তান আমাদের দেশ থেকে ১২ হাজার মাইল দূরবর্তী একটি দেশ। শুধু দূরত্বটাই মুখ্য নয়। আমাদের বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের  ঠিক পুরোপুরি মাঝখানে রয়েছে পাকিস্তানের চির শত্রুদেশ ভারত। এই মাঝখানের শত্রু দেশ বিশাল ভারত টপকে পাকিস্তানিদের বাংলাদেশে আসা কিছুতেই সম্ভব ছিল না। প্রশ্নই ওঠে না।

 ভৌগলিক কারণেই অতি সহজে স্বল্প সময়ে স্বল্প প্রাণহানিতে আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়া খুবই সম্ভব ছিল, উচিত ছিল। এমন হওয়াও বিচিত্র ছিল না যে, বিনাযুদ্ধে, বিনা রক্তপাতেই আমাদের দেশ স্বাধীন হতো। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার জন্য কার্যকরি ব্যবস্থা না নিয়ে শেখ মুজিবর রহমান কর্তৃক পাকিস্তানিদের দীর্ঘ সময় দেয়ার কারণেই আমাদের স্বাধীনতার জন্য ত্রিশ লক্ষ মানুষকে প্রাণ দিতে হলো (ত্রিশ লক্ষ শহীদ এর এই সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন আছে)। দুই লক্ষ মা-বোনদের ইজ্জতও দিতে হলো (এই দুই লক্ষ বীরাঙ্গনাদের সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন আছে)। 


আসলে শেখ মুজিবর রহমান মানসিকভাবে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। অথবা পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন  হয়ে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র তিনি চাননি। পাকিস্তানিরা আমাদের উপর স্বাধীনতা যুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল এবং তাদের আক্রমণ ও হত্যাযজ্ঞের ফলেই আমরা মুক্তিযুদ্ধ করতে বাধ্য হই। অর্থাৎ পাকিস্তানিরাই আমাদের স্বাধীন হতে বাধ্য করেছে।


১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণে শেখ মুজিবর রহমান পাকিস্তানের কাছে যে ৪টি দাবি করেছিলেন –


(১) সামরিক আইন মার্শাল ‘ল’ তুলে নিতে হবে,


(২) সমস্ত সেনাবাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে,


(৩) যেসব হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে এবং


(৪) জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।


অর্থাৎ শেখ মুজিবর রহমানকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।
এই দাবিগুলো যদি পাকিস্তানিরা মেনে নিত তাহলে কি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ করতে হতো? পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আমাদের আলাদা  স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ হতো? 


' কবি নির্মলেন্দু গুণের মতে শেখ মুজিবর রহমানের ৭ই মার্চের দাবি পাকিস্তান যদি মেনে নিত তাহলে আর যাই হোক, এই যাত্রায় বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। ' 
শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নেতা। পাকিস্তানিরা যদি শেখ মুজিবকে নির্বাচিত নেতা হিসেবে ক্ষমতা দিতো, যদি শেখ মুজিবর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতেন, তাহলে তো আমরা নিশ্চয়ই পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হতাম না, বা বঙ্গবন্ধুও তা চাইতেন না। জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত বাঙালি জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাকিস্তান সামরিক শাসকরা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে এবং বাঙালি জনপ্রতিনিধিরা পাকিস্তান সরকার পরিচালনা করবেন এই তো ছিল শেখ মুজিবর রহমানের প্রকৃত কথা।

পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল বাঙালি। এই সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা পাকিস্তান শাসন করবে এটাই ছিল শেখ মুজিবর রহমানের মূলমন্ত্র। ঘটনা প্রবাহের ঐতিহাসিক বিশ্লেষণে শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের শেষ ব্যক্তি, যিনি পাকিস্তানের অখ-তায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী ছিলেন।

ঐক্যবন্ধ পাকিস্তানের প্রতি শেখ মুজিবর রহমানের ছিল পূর্ণ আনুগত্য। পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে যাক, পাকিস্তান টুকরো হয়ে যাক, শেখ মুজিবর রহমান কখনোই তা চাননি। আর চাননি বলেই প্রয়োজনীয় সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরির জন্য কোনো বাস্তব কার্যকর ভূমিকা নেননি।
শেখ মুজিবর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ  হলো  ট্রিমেনডাস কন্ডিশন্যাল স্পিচ।

যে ভাষণে পাকিস্তান রক্ষার শেষ চেষ্টা হিসেবে শেখ মুজিবর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের শর্ত দেয়া হয়েছিল। আবার ক্ষমতা না দেয়া হলে পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সতর্ক হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।


৭ই মার্চের শেখ মুজিবর রহমান এর ভাষণ ছিল বিশ্ব ইতিহাসে এক অনন্য ঐতিহাসিক ভাষণ, যে ভাষণে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেও "স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি"। 


সেই কারণেই আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণার তারিখ বা দিন এবং স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে চির বিতর্ক।


আমরা ২৬শে মার্চকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করি তার মূল কারণ হলো, ২৫শে মার্চ দিবাগত রাত বারটার  পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঘুমন্ত বাঙালির উপর পৈচাশিক আক্রমণ ও গণহত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২৫শে মার্চ দিবাগত গভীর রাত অর্থাৎ ঘড়ির সময় অনুযায়ী তা ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহর ধরা হয় বলেই ২৬শে মার্চকে আমরা স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করি। প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানি সৈনিকদের আক্রমণ আর ঘড়ির সময় হিসেবে নিয়েই ২৬শে মার্চকে স্বাধীনতা দিবস ধরা হয়। এই হিসেবে বলি পাকিস্তানিরা আমাদের ২৬শে মার্চের আগে অথবা পরে যে কোনো দিন আক্রমণ করতো তাহলে সেই দিনটিই আমাদের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে চিহ্নিত হতো। 


সত্যি কথা বলতে কি, শেখ মুজিবর রহমান সঠিক সময়ে পূর্ণাঙ্গরূপে আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি। 


২৩শে মার্চ হলো পাকিস্তান দিবস। এই ২৩শে মার্চে পাকিস্তান দিবসে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) সহ সাড়া পাকিস্তানের সকল সরকারি-বেসরকারি পতাকা তোলা হতো। শহরের রাস্তাগুলো পাকিস্তানি পতাকা দিয়ে সাজানো হতো এবং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২৩শে মার্চ পাকিস্তান দিবস পালন করা হতো। কিন্তু ’৭১–এর ২৩শে মার্চ পাকিস্তান দিবসে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশের) কোথাও, কোনো সরকারি বেসরকারি ভবনে পাকিস্তানি পতাকা তো উড়ানো হয়নি বরং জনগণ স্বেচ্ছায় স্বতঃস্ফুর্তভাবে এদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের) প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি ভবনে, প্রতিটি বাড়িঘরে, রাস্তাঘাটে, গ্রামবাংলার গাছে গাছে এমনকি শেখ মুজিবের বাসভবনে সবুজের মাঝে লাল বৃত্তের উপর হলুদ রঙের মানচিত্র খঁচিত স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানের যবনিকাপাত ঘটালো।

পাকিস্তান দিবসে পাকিস্তানি পতাকা উড়ল না। পাকিস্তানি সৈন্যরা কুঁচকাওয়াজ করল না। পাকিস্তানের কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া গেল না। তারপরও শেখ মুজিবর রহমান স্বীকৃত পন্থায় সোজাসুজি স্পষ্ট করে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি। কি এক অজ্ঞাত কারণে শেখ মুজিবর রহমান মুখ খোলেননি, নীরব ছিলেন। স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ রাজনৈতিক দ্বায়িত্ব কেবলমাত্র শেখ মুজিবকেই বাঙালি জাতি দিয়েছিলেন। কিন্তু শেখ মুজিবর রহমান জাতি কর্তৃক প্রদত্ত রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি।

তথ্য সূত্রঃআমার ফাঁসি চাই। ১৪ বৎসর পর একই সূত্রে এসে আবার নতুন করে শেখ মুজিবর রহমানের মরণোত্তর বিচার ,শাস্তি ও মরণোত্তর ফাঁসি চেলেন  বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী ।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!