মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসি দেয়ার প্রতিবাদে বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতালের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার জামায়াতের কেন্দ্রীয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ রায় ঘোষণা দেন।
এর আগে বেলা ১১টা ১৪ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আনোয়ারুল হক ১৫৮ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন।
জামায়াতের অন্যতম এ শীর্ষ নেতার একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায় শুনতে উদগ্রীব হয়ে ছিল জাতি।
রায় পড়া শুরুর আগে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তার ভূমিকায় বলেন, ‘আজ আমরা এটিএম আজহারুল ইসলামের রায় ঘোষণা করব। রায়ের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মসূচি আমরা আশা করি না। বিশেষ রায় হওয়ার ক্ষেত্রে বিচারপতির ওপর কোনো মানসিক চাপ প্রয়োগ করা উচিত উচিৎ নয়।’
এর আগে সকাল নয়টায় ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয় আজহারকে। সেখানে তাকে হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল পৌনে ১১টার দিকে তাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ নভেম্বর এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে একাত্তরে সংঘটিত হত্যা, নির্যাতন, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর একই বছরের ৫ ডিসেম্বর আজহারের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করে প্রসিকিউশন। আজহারের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে গত ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষ প্রসিকিউশনে আজহারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। পরে গত ২৫ জুলাই অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছর ২২ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল-১ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধেগ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ওই দিনই তার মগবাজারের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।