বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, মারা যাওয়ার পর শিশু জিহাদ বোধহয় বিরোধী দলের সদস্য হয়ে গেছে। অদ্ভুত এ দেশ আর অদ্ভুত এই সরকার। জিহাদকে উদ্ধার করতে না পেরেও তারা কৃতিত্ব তারা নিতে চায়। দুঃখ প্রকাশ করে না। মানুষ নামের উদ্ভট প্রাণী আমাদের শাসন করছে। এই এ্যাবনরমাল সরকারের কাছে তাই আর কিছুই চাওয়ার নেই। সব চাওয়া জিহাদকে উদ্ধারকারী তরুণদের কাছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘শিশু জিহাদের করুণ মৃত্যুতে শোক এবং উদ্ধারকারী তরুণদের সম্মাননা’ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপস্থিত উদ্ধারকারীদের দেখিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ওরাই মুক্তিযুদ্ধের সন্তান। আর সরকারে যারা আছে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে ব্যবসা করে। একজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী রাস্তায় বের হলে হাই সিকিউরিটির ব্যবস্থা করা হয়, অথচ উদ্ধারের স্বার্থে জিহাদের পরে যাওয়া পাইপের পাশে কোনো ব্যারিকেড দেয়ার ব্যবস্থা নেয়নি তারা।ড. শাহদীন বলেন, আমাদের উদ্ধার বাহিনীকে এসব তরুণকে ট্রেইনার বানাতে প্রশিক্ষণ নেয়া দরকার। কারণ, বাণিজ্যের মাধ্যমে এসব বাহিনীতে নিয়োগ ও প্রমোশন হয়। যোগ্যতা আর দক্ষতার ভিত্তিতে নয়। উদ্ধার করা শিশুর জন্য তাৎক্ষণিক একটি এ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন এটা তাদের জ্ঞানেই আসেনি।
দেশের কর্তারা দুর্ঘটনায় অনুতপ্ত না হলে সে জাতি এগুতে পারে না মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ফায়ার ব্রিগেডের কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি করেন সাবেক আওয়ামী লীগের এ নেতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল বলেন, জিহাদের মৃত্যুর সঙ্গে আমরা আমাদের রাষ্ট্রের মৃত্যু দেখেছি। একই সঙ্গে সততা ও সক্ষমতার মৃত্যু দেখেছি। এর প্রধান নায়ক অথর্ব অক্ষম এ সরকার। এরপরেও সাধারণ মানুষের উদ্দীপনা আমাদের উদ্দীপ্ত করে এবং আমরা একটি সৎ ও সক্ষম সরকারের স্বপ্ন দেখি।
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, এ সমাজকে ক্যান্সারমুক্ত করতে হলে এমন তরুণ প্রজন্মই সময়ের প্রয়োজন। যারা জিহাদকে উদ্ধার করেছে তারাই পারে এ দেশকে ক্যান্সারমুক্ত করতে।
মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- ড. দিলারা চৌধুরী, উদ্ধারকারী শাহ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, শফিকুল ইসলাম ফারুক, সুজন দাস রাহুল প্রমুখ।