দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ দেশবাসীকে কঠোর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আগামী ৫ জানুয়ারি ঝুঁকি নিয়ে হলেও গণতন্ত্র হত্যা দিবসের কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের গেটে সাংবাদিকদের কাছে এসব জানিয়েছেন তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অসুস্থ হয়ে পড়েছে শুনে চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া তাকে দেখার উদ্দেশ্যে বের হতে চেয়েছিলেন। গাড়িতে এসে আধা ঘণ্টা বসে ছিলেন। চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পুলিশ ব্যারিকেড তুলে নেয়ার অনুরোধ করলেও তারা তা শোনেননি।’
শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে গুরুতর অসুস্থ রিজভী আহমেদকে আটক করে অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গেটে পুলিশের যে ব্যারিকেড ছিল তা কিছুক্ষন পূর্বে তুলে নেয়া হয়েছে। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘নাউ শি ইজ পারমিটেড গোয়িং টু হোম।’ তবে অতিরিক্ত পুলিশ এখনও মোতায়েন রয়েছে।
খালেদা জিয়া এখন বাসায় যেতে পারবেন পুলিশ কর্মকর্তার এই বক্তব্যের জবাবে শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
তবে রাত সোয়া ২টায় এই রিপোর্টের সর্বশেষ হালনাগাদ করা পর্যন্ত খালেদা জিয়া তার কার্যালয়েই অবস্থান করছেন। তিনি এখানেই অবস্থানের চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানা যাচ্ছে। বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক দলীয় কর্মীগন কার্যালয় ভবনে অবস্থান করছেন। ইতিমধ্যে দেশনেত্রীর জন্য খাবার আনা হয়েছে।পরবর্তি সিদ্ধান্ত না জানা পর্যন্ত দেশনেত্রী কার্যালয় ছেড়ে যাবেন না বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।